বাটার তরফে বলা হয়েছে,'এটি অত্যন্ত দুঃখজনক যে, সম্প্রতি বাংলাদেশে আমাদের কিছু খুচরা বিক্রয়কেন্দ্রে ভাঙচুর চালানো হয়েছে, যা সম্ভবত এই মিথ্যা প্রচারের কারণে ঘটেছে।'
বাংলাদেশে বাটার শোরুমে তাণ্ডব ঘিরে মুখ খুলল সংস্থা।
গাজায় ইজরায়েলি হানার জেরে বিধ্বস্ত প্যালেস্তাইনের পাশে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের বুকে প্রতিবাদে উত্তাল হল একদল জনতা। এদিকে, ইজরায়েলের বিরুদ্ধে সরব হতে গিয়ে, বাংলাদেশের বুকে প্রতিবাদী বিক্ষোভে ভাঙচুর, লুটপাট চালাতে দেখা যায় একদল জনতাকে। সিলেট সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায়, বাটা,পিৎজা হাট, কেএফসির দোকানে চলে ভাঙচুর, লুট। এরপরই মুখ খুলল ‘বাটা'।
জনপ্রিয় জুতো প্রস্তুতকারী সংস্থা ‘বাটা’র তরফে তাদের বিবৃতিতে স্পষ্ট করা হয়েছে যে, তাদের সঙ্গে ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন সংঘাতের কোনও রাজনৈতিক যোগ নেই। পাশাপাশি বাংলাদেশে 'বাটা' সম্পর্কে যে রটনা ছড়িয়ে পড়েছে, তাও অসত্য বলে দাবি করেছে সংস্থা। এই জুতো প্রস্তুতকারক সংস্থা জানাচ্ছে, তাদের সংস্থার প্রতিষ্ঠা চেক প্রজাতন্ত্রে। সংস্থা জানাচ্ছে, বাটা একটি ইজরায়েলি সংস্থা, এমন অসত্য দাবি করা হচ্ছে, যা সম্পর্কে সজাগ রয়েছে সংস্থা। এছাড়াও সংস্থা জানিয়েছে, বাংলাদেশে তাদের আউটলেটে যেভাবে ভাঙচুর করা হয়েছে, তা আপাতভাবে এই ভুল দাবির রটনার জেরে হয়েছে। এমন ভাঙচুরের তীব্র নিন্দা করেছে বাটা।
বাটা তার বিবৃতিতে জানিয়েছে,' বাটা গ্লোবালি একটি ব্যক্তিমালিকানাধীন, পারিবারিকভাবে পরিচালিত সংস্থা, যা চেক প্রজাতন্ত্রে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং এই সংঘাতের সাথে কোনও রাজনৈতিক সম্পর্ক নেই। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক যে, সম্প্রতি বাংলাদেশে আমাদের কিছু খুচরা বিক্রয়কেন্দ্রে ভাঙচুর চালানো হয়েছে, যা সম্ভবত এই মিথ্যা প্রচারের কারণে ঘটেছে।' এর আগে সংস্থা লিখছে,'বাটা একটি ইজরায়েলি মালিকানাধীন কোম্পানি অথবা ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের সাথে কোনো রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা রয়েছে, এমন একটি ভ্রান্ত তথ্য সম্পর্কে আমরা সচেতন।' বাটার সাফ কথা,' আমরা সকল প্রকার সহিংসতার কঠোর নিন্দা জানাই।' সংস্থা বলছে,'বাটা ১৯৬২ সাল থেকে বাংলাদেশে সেবা দিয়ে আসছে, মানসম্পন্ন পণ্যের প্রতিশ্রুতি এবং সকল সম্প্রদায়ের প্রতি সম্মান বজায় রেখে।'
এদিকে জানা গিয়েছে, সিলেটে বাটার ওই শোরুম থেকে জুতো লুট করে নিয়ে গিয়ে তা বিক্রির জন্য পরে ফেসবুকে পোস্ট করে কিছু অভিযুক্ত। সেই ফেসবুক পোস্টের সূত্র ধরে, পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে। ভাঙচুরের ঘটনায় গোটা বাংলাদেশে মোট ৪৯ জন গ্রেফতার হয়েছে।