কোটা বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে উত্তাল হয়ে ওঠে। আজ, বুধবার থেকে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। তবে আজ সামান্য ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হয়েছে। সামান্য সময়ে অফিস চলছে। তবে একসপ্তাহ ধরে যে কোটা বিরোধী আন্দোলন চলেছে তাতে প্রায় ২০০ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তবে এসবের মধ্যে চলতে থাকা কার্ফু আংশিক শিথিল হয়েছে। বুধবার ঢাকা–সহ চার জেলায় সাত ঘণ্টার জন্য শিথিল করা হয়েছে কার্ফু। সামান্য সময়ের জন্য খোলা হয়েছে অফিস–কাছারি। একাধিক সরকারি ও বেসরকারি অফিসগুলি চার ঘণ্টা খোলা রাখার অনুমতি মিলেছে। খুলেছে পোশাক কারখানা। ব্যাঙ্কগুলিকেও সামান্য সময়ের জন্য খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এভাবে পরিস্থিতি স্বাভাবিকের দিকে যাচ্ছে।
এদিকে বাংলাদেশের বেশিরভাগ জায়গায় ইন্টারনেট নেই। তবে হাজারের বেশি গাড়ি রাস্তায় রাজধানী ঢাকায় দেখা যায়। চট্টগ্রামে অবস্থিত ব্যাঙ্কগুলিতে ইন্টারনেট পরিষেবা ছিল। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ সূত্রে খবর, গত ১৬ জুলাই থেকে ১৯৭ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তবে স্কুল এবং অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আজও বন্ধ ছিল। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত এগুলি খুলবে না। শুক্রবার রাত থেকে বাংলাদেশে কার্ফু জারি করা হয়। মাঝে কিছু সময়ের জন্য কার্ফু শিথিল করা হয়েছিল। রবিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত টানা তিনদিন ছুটি ঘোষণা করে শেখ হাসিনার সরকার। সেই ছুটি এবার নতুন করে বাড়ানো হয়নি। তবে আজ, বুধবার চার ঘণ্টার জন্য অফিস–কাছারি খুলল ঢাকা–সহ চার জেলায়।
আরও পড়ুন: শুভেন্দু–তপনের লড়াই বিধানসভায়, দুই বিধায়কের পরস্পর অভিযোগ উত্তপ্ত পরিবেশ
অন্যদিকে পুলিশের সঙ্গে ছাত্র–যুবদের সংঘর্ষে তোলপাড় হয়ে উঠেছিল ওপার বাংলা। ১৫ জুলাই থেকে কোটা বিরোধী আন্দোলন রক্তক্ষয়ী চেহারা নেয়। এই আন্দোলনকে ইন্ধন দেয় জামাত–ই–ইসলামি। তাতেই চরমে ওঠে আন্দোলন। ভাঙচুর থেকে শুরু করে রক্তারক্তি কাণ্ড ঘটে যায় বাংলাদেশের মাটিতে। সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ থেকে নেমে ৫ শতাংশে নেমে এলেও আন্দোলন থামছিল না। সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনে নিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার। এমনকী বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী। তাতে আন্দোলনের ঝাঁঝ অনেকটা কমেছে।
এছাড়া কলকাতা–ঢাকা মৈত্রী এক্সপ্রেস আগামী ২৬ জুলাই বাতিল করা হয়েছে। ঢাকা থেকে যে খবর এসেছে তার ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ঢাকা থেকেও মৈত্রী এক্সপ্রেস কলকাতায় আসবে না। কার্ফু শিথিল থাকাকালীন অফিস, কারাখানা খুলেছে। তবে বাংলাদেশের রাস্তায় এখনও টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনী এবং সীমান্তরক্ষী বাহিনী বাংলাদেশ। মোতায়েন আছে প্রচুর পুলিশ। প্রথম আলো সূত্রে খবর, গত কয়েকদিনের হিংসায় বাংলাদেশে মোট ৮০০ জনেরও বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখনও সেখানে চাপা উত্তেজনা রয়েছে।