আগামিকাল আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। হাসিনার পদত্যাগের পর এই প্রথম বাংলাদেশে সামরিক শাসনের ছত্রছায়ায় পালন করা হবে ২১ ফেব্রুয়ারি। সে বিষয়ে গ্রহণ করা হয়েছে বেশ কিছু জরুরি পদক্ষেপ।
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে, তিনটি ধাপে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হবে। রাত ১২টা ১ থেকে ১২টা ৪০ পর্যন্ত দেশের বিশিষ্ট ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ কর্তৃক মাল্যদানের মধ্যে দিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন পর্বের সূচনা হবে। রাত ১২টা ৪০ মিনিটে জনসাধারণের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পলাশী গেট উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
মো. সাজ্জাত আলী বলেন, ‘রাতে যাঁরা আসবেন, ভোগান্তি এড়াতে নির্দিষ্ট সময়েই আসার অনুরোধ করছি। বেদীতে ফুল দেওয়ার সময় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। নিরাপত্তাহীনতার কোন শঙ্কা নেই।’
২১ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২ টো পর্যন্ত পুলিশ কর্তৃক কড়া নজরদারি রাখা হবে এই এলাকায়। তবে দুর্ঘটনা এড়াতে সকলকেই সচেতন থাকার বার্তা দিয়েছেন আলী।
শহরে ছিনতাইবাজদের বাড়বাড়ন্তের কারণে, সাধারণ মানুষকে মোবাইল-মানিব্যাগ সামলে রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। ১ কিমির মধ্যে থাকবে মোবাইল টিম। এর পাশাপাশি সামরিক বাহিনী থেকে 'ডেভিল্ড হান্ট' অপারেশন চালিয়ে এই ছিনতাইবাজদের পাকড়াও করার উপযুক্ত ব্যবস্থাও বর্তমানে সক্রিয়।
আরও পড়ুন -Book fair in Bangladesh: বাংলাদেশের বইমেলায় ন্যাপকিন, ডায়েপার বিক্রি করায় স্টল বন্ধ করল কমিটি
তিনি আরও বলেন, জামিন প্রাপ্ত শীর্ষ সন্ত্রাসীদের এলাকা ভিন্ন হওয়ায় শহিদ মিনারকে কেন্দ্র করে তাদের কোন আগ্রহ নেই। তাই জঙ্গি হামলারও আশঙ্কা নেই। বিচ্ছিন্ন কয়েকটি ঘটনা ছাড়া আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পূর্বের চেয়ে ভালো আছে।
আজ ৭টি পয়েন্ট ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ থাকবে। রাত ৮টা থেকে ৯টার মধ্যেই বসে যাবে ব্যারিকেড।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ডিএমপির মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মুহম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় যে, মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে মানুষকে কিছু নির্দিষ্ট রুট অনুসরণের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে।
এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা ও কালো পতাকা উত্তোলনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকায় কয়েকটি মসজিদ ও অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে ভাষা শহিদদের শান্তি কামনা করে প্রার্থনা করা হবে। শহিদ মিনারে ভাষা শহিদদের আত্মত্যাগের স্মরণে শহিদ বেদী আল্পনা করা হয়েছে লাল, সাদা ও কালো এই তিনটি প্রতীক রঙে। লাল বিপ্লবের, সাদা শুভ্রতার এবং কালো শোকের প্রতীক।