ভোটের জন্য নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে বাংলাদেশের অন্তর্বতী সরকার। যদিও কবে ভোট হবে সে নিয়ে নির্দিষ্টভাবে কিছু বলা হয়নি বাংলাদেশ সরকারের তরফে। তবে ভোটে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লিগ অংশগ্রহণ করতে পারবে বলেই জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস। আর নির্বাচন কমিশন গঠনের পরেই এবার বাংলাদেশের পার্লামেন্টে সংখ্যালঘুদের জন্য আসন সংরক্ষণের দাবি উঠল। বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট শুক্রবার এই দাবিতে সরব হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৬ বছর পর প্রকাশ্য অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়া! ‘বিশেষভাবে স্বাগত’, বার্তা ইউনুসের
সংগঠনের তরফের দাবি তোলা হয়েছে, বাংলাদেশের ৩৫০টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ৪২টি আসন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য সংরক্ষণ করতে হবে। তাদের বক্তব্য সত্যিকারের প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে এবং বঞ্চনার অবসান ঘটাতে সকল স্তরের মানুষদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা প্রয়োজন। উল্লেখ্য, মহাজোটের দাবি এসেছে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য কমিশন নিয়োগ করার একদিন পরেই। সংগঠনের তরফে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানানো হয়েছে মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তাদের দাবি না মানলে হিন্দু সম্প্রদায় কোনও নির্বাচনে অংশ নেবে না। এক সংবাদ সম্মেলনে মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক একথা জানিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ভোটকেন্দ্রেও যাব না। ১২ শতাংশ বাংলাদেশি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের (হিন্দু ১০ শতাংশ এবং বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ২ শতাংশ) জন্য সংরক্ষণ করতে হবে।’ প্রামাণিক বলেন, যে ৪২টি আসন সংরক্ষণ করা হবে তার মধ্যে ৩৮টি হিন্দুদের, তিনটি বৌদ্ধদের জন্য এবং একটি খ্রিস্টানদের জন্য সংরক্ষিত হওয়া উচিত।
মহাজোটের সভাপতি দীনবন্ধু রায় বলেন, ‘সংখ্যালঘু হওয়ায় আমরা আমাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত এবং আমাদের দাবিগুলি শোনা হচ্ছে না। আমরা আশা করি সরকার ও অন্যান্য ধর্মের মানুষ আমাদের দিকে সহানুভূতির চোখে দেখবে।’
প্রসঙ্গত, প্রাক্তন সচিব এএমএম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে এই নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন রাষ্ট্রপতি। নির্বাচন কমিশনে অন্যান্য যে সদস্যরা রয়েছেন তারা হলেন- অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা বিচারক আবদুর রহমানেল মাসুদ, অবসরপ্রাপ্ত যুগ্ম সচিব বেগম তাহমিদা আহমেদ এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মহম্মদ আবুল ফজল সানাউল্লাহ। জানা যাচ্ছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার আগামী রবিবার শপথ গ্রহণ করবেন। তাঁকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন দেশের প্রধান বিচারপতি।