কক্সবাজারের কাছে অবস্থিত সেন্ট মার্টিন দ্বীপে পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করল বাংলাদেশ সরকার। আগামী ৩১ জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ৯ মাসের জন্য এই দ্বীপে পর্যটকদের ভ্রমণ নিষিদ্ধ।করা হয়েছে। এর ফলে ভরা পর্যটনের মরশুমে ব্যবসায়ীরা ব্যবসায়ী বড় ধাক্কা খেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন। সাধারণত প্রতিবছর দেশের একমাত্র এই প্রবাল দ্বীপে প্রচুর সংখ্যক পর্যটক ঘুরতে যান। তবে সরকারের এই সিদ্ধান্তে উদ্বিগ্ন ব্যবসায়ীরা। তারা আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন। ইতিমধ্যেই ব্যবসায়ীদের তরফে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কোনও নিষেধাজ্ঞা না দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: পর্যটকদের জন্য দরজা ‘বন্ধ’ সেন্ট মার্টিনে, হাসিনার আশঙ্কাই সত্যি হচ্ছে বাংলাদেশে?
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, সাধারণত মার্চের শেষ থেকে অক্টোবর পর্যন্ত এই দ্বীপে পর্যটকদের ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকে। তবে এবছর সেই নিষেধাজ্ঞা আরও দু মাস বাড়ানো হয়েছে। পরিবেশ, বন এবং জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এই দ্বীপে পর্যটকরা আগামী শুক্রবার পর্যন্ত ভ্রমণে যেতে পারবেন। সেন্টমার্টিন দ্বীপ পর্যটন নিয়ন্ত্রণ কমিটির আহ্বায়ক ও কক্সবাজার সদরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিলুফা ইয়াসমিন চৌধুরী সরকারের সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নির্দেশ অনুযায়ী, পর্যটকরা ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সেন্ট মার্টিনে ঘুরতে যেতে পারবেন। এর পরে সমস্ত পর্যটন সংক্রান্ত জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকবে। দ্বীপের হোটেল, মোটেল এবং রিসোর্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এম এ রহিম জিহাদি বলেন, ‘এটি দ্বীপের জন্য একটি নজিরবিহীন সংকট। যদি পর্যটকদের বাধা দেওয়া হয় তাহলে পর্যটনের উপর নির্ভরশীল হাজার হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।’ সমুদ্র ক্রুজ অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক হোসেন ইসলাম বাহাদুর সরকারকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন জানিয়েছেন।অন্তত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সেন্ট মার্টিন পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত রাখার দাবি জানান তিনি। না হলে দ্বীপের বাসিন্দা এবং ব্যবসায়িকদের বড় আর্থিক ক্ষতি হবে বলে তিনি আশঙ্কা করেছেন।