বাংলায় ওয়াকফ নিয়ে অনেক ঝামেলা হচ্ছে। তবে পড়শি রাজ্য অসম তুলনামূলক শান্ত। এই আবহে অসমের মুখ্যমন্ত্রী সম্প্রতি পুলিশের প্রশংসা করে একটি পোস্ট করেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর সেই পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় এবার এআইইউডিএফ বিধায়ক তথা দলের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম পালটা তোপ দাগলেন হিমন্তকে। তিনি আইনি পথে ওয়কফ সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথা বলেন। তিনি অভিযোগ করেন, বিজেপি অসমের মুসলিমদের থেকে তাদের জমি কেড়ে নিতে চায়। এরই সঙ্গে তিনি দাবি করেন, অসমের সব মুসলিমই খুব অসন্তুষ্ট। (আরও পড়ুন: ওয়াকফের নামে ফের অশান্ত মুর্শিদাবাদ, হাসপাতালে আগুন,BSF গুলি চালিয়েছে বলে অভিযোগ)
আরও পড়ুন: বাংলায় ওয়াকফ প্রতিবাদের নামে তাণ্ডবে 'বিরক্ত' তৃণমূলেরই বিধায়ক, বললেন...
বার্তাসংস্থা এএনআইকে রফিকুল ইসলাম বলেন, 'অসমের মুখ্যমন্ত্রীর এই ভ্রান্ত ধারণায় থাকা উচিত নয়। অসমের সমস্ত মুসলিম অসন্তুষ্ট। অসমের সকল মুসলিম চান এই বিল (ওয়াকফ সংশোধনী) বাতিল করা হোক। বিজেপি মুসলিমদের ওয়াকফ জমি কেড়ে নিচ্ছে। এটা হওয়া উচিত নয়, আমরা এটা হতে দেব না। আমরা সুপ্রিম কোর্টে আইনি লড়াই লড়ব এবং গণতান্ত্রিক উপায়েও প্রতিবাদ করব... অসমের মুসলমানরা খুবই দুঃখে আছে এবং আমরা বিজেপির বিরুদ্ধে। তারা আমাদের কাছ থেকে যে ওয়াকফ সম্পত্তি কেড়ে নিতে চায়।' (আরও পড়ুন: 'ওয়াকফ প্রতিবাদের নামে লুটপাট... থানায় হামলা হওয়ায় পুলিশ নিজেই পালায়')
এর আগে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা শনিবার বলেন, ওয়াকফ (সংশোধনী) আইনের বিরুদ্ধে ছোটখাটো প্রতিবাদ সত্ত্বেও রাজ্যের পরিস্থিতি মোটামুটি শান্তিপূর্ণ রয়েছে। তিনি শান্তি বজায় রাখার জন্য অসম পুলিশের প্রশংসা করেন এবং বোহাগ বিহু উদযাপনের আগে জনগণের ঐক্যের কথা তুলে ধরেন। নিজের পোস্টে হিমন্ত লেখেন, 'প্রায় ৪০ শতাংশ মুসলিম জনসংখ্যা থাকা সত্ত্বেও ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে তিনটি জায়গায় বিচ্ছিন্ন প্রতিবাদ ছাড়া অসম আজ শান্তিপূর্ণ রয়েছে। অসম পুলিশকে তাদের বিস্তৃত গ্রাউন্ডওয়ার্কের জন্য আমার অভিনন্দন। তাদের এই কাজের ফলে শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখা সম্ভব হয়েছে। অসম জুড়ে মানুষ - জাতি, ধর্ম, সম্প্রদায় এবং ধর্ম নির্বিশেষে - চেতনায় ঐক্যবদ্ধ এবং আনন্দ ও সম্প্রীতির সাথে আমাদের প্রিয় বোহাগ বিহুকে স্বাগত জানাতে অধীর আগ্রহে প্রস্তুতি নিচ্ছে।'
এদিকে বাংলার বিভিন্ন জায়গায় ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় হিংসা দেখা গিয়েছে। মুর্শিদাবাদে পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর হয়ে ওঠে যে বিএসএফকে ডাকতে বাধ্য হয় জেলা প্রশাসন। এর আগে সিএএ আন্দোলনের সময়ও বাংলার মুর্শিদাবাদে হিংসা ছড়িয়েছিল। সেই সময় অবশ্য বাংলার থেকে বেশি অশান্ত হয়ে উঠেছিল অসম। তবে সেই সব এখন অতীত। ওয়াকফ আঁচে যখন বাংলা জুড়ে অবরোধ, বিক্ষোভ, মিছিল, হিংসা, তখন অসমে কোনও রকমের হিংসা বা ঝামেলার ঘটনা ঘটেনি।