জঙ্গল লাগোয়া বসবাসকারী ২০ হাজারের বেশি মানুষকে জমির অধিকার দেবে অসম সরকার। এর জন্য তিনসুকিয়া জেলার তিনটি প্রস্তাবিত সংরক্ষিত জঙ্গলকে চিহ্নিত করা হয়েছে। শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার নেতৃত্বে মন্ত্রিসভার একটি বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে এই জঙ্গলগুলির সংরক্ষণের প্রস্তাব তুলে গ্রাম তৈরির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সেখানে এলাকার বাসিন্দারা জমির অধিকার পাবেন এবং বসবাস করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: অসমের মন্ত্রিসভায় ব্যাপক রদবদল, মন্ত্রিত্বে চার নতুন মুখ আনলেন হিমন্ত
বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, ‘তিনসুকিয়ায় তিনটি প্রস্তাবিত সংরক্ষিত বন রয়েছে। আমরা সেগুলিকে শনাক্ত করে সংরক্ষণের প্রস্তাব প্রত্যাহার করে গ্রাম করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটি সেখানে বসবাসকারী মানুষদের জমির অধিকার পেতে সাহায্য করবে।’ উল্লেখ্য, প্রস্তাবিত তিনটি সংরক্ষিত বনের মধ্যে তালপাথারে রয়েছে ১৭০ হেক্টর জমি, মোহংপাথারে রয়েছে ৪৬৬ হেক্টর এবং দুয়ারমারাহে রয়েছে ১১৩ হেক্টর জমি। এই এলাকার গ্রামগুলিতে ২০ হাজারের বেশি মানুষ বাস করেন। সংরক্ষিত বন থাকায় বিধিনিষেধের কারণে তারা এতদিন কোনও জমির অধিকার পাননি। সেই কারণেই এই বনগুলিকে সংরক্ষিত বানানোর পরিবর্তে গ্রাম করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হিমন্ত শর্মা জানান, মন্ত্রিসভার অনুমোদনের ফলে দুর্দশাগ্রস্ত মানুষ স্বস্তি পাবে। তিনি এটিকে বড় সিদ্ধান্ত বলে উল্লেখ করেছেন।উল্লেখ্য, ইন্ডিয়া স্টেট অফ ফরেস্ট রিপোর্ট ২০২৩ অনুসারে, অসমের বনাঞ্চল ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে প্রায় ৮৪ বর্গ কিমি কমেছে। রাজ্যে বন জঙ্গল এবং সবুজ রয়েছে ৩০,৪১৫.০১ বর্গ কিমি।
এদিকে, মন্ত্রিসভা ‘আপন ঘর’ প্রকল্পের অধীনে ৩৭ হাজারের বেশি বয়স্ক রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য ১৫ লক্ষ টাকার অতিরিক্ত গৃহঋণের অনুমোদন দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, এই পদক্ষেপের লক্ষ্য বয়স্ক কর্মচারীদের উদ্বেগের সমাধান করা। যারা বাড়ির জন্য এই ঋণ নিতে পারবেন।
মন্ত্রিসভার অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলির মধ্যে রয়েছে মিশন বসুন্ধরা ৩.০ আবেদনের সময়সীমা বাড়ানো, ১৯টি জেলার চা বাগান এলাকায় ২১৯টি গ্রামীণ রাস্তাকে উন্নত করা প্রভৃতি। রাস্তার জন্য ২৩৪ কোটি টাকা অনুমোদন করা হয়েছে। এরফলে অসমের মানুষজন উপকৃত হবে বলে মনে করছে হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সরকার।