পেজে বা প্রোফাইলে লক্ষ লক্ষ ফলোয়ার্স। তাতে কোনও সংস্থার প্রোডাক্টের একটা ছবি পোস্ট করলেই লাখ এমনকি কোটি টাকা আয়। ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুকে ফলোয়ার-সংখ্যা কাজে লাগিয়ে এভাবেই বিপুল আয় করছেন ইনফ্লুয়েনসার থেকে সেলিব্রেটিরা।
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নেই বিজ্ঞাপন-সংক্রান্ত আইনের পাটবালাই। এবার তাই নিয়েই সতর্ক হয়েছে শিল্প পরিষদ। নিয়মভঙ্গের অভিযোগ এলেই কড়া আইনানুগ পদক্ষেপ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। গত ১৪ জুন থেকে জারি হয়েছে অ্যাডভার্টাইজিং স্ট্যান্ডার্ডস কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপনের নিয়মাবলী।
কয়েকটি নিয়মভঙ্গের উদাহরণ:
বিরাট কোহলি:
গত ২৭ জুলাই বিরাট কোহলির সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লাভলি প্রফেশনাল ইউনিভার্সিটির (এলপিইউ) দেদার প্রশংসা করা হয়। সেখানে টোকিয়ো অলিম্পিকে এলপিইউ-এর ১১ জন পড়ুয়া গিয়েছে বলে জানান কোহলি। অথচ তাতে কোনও পেইড পার্টনারশিপ ট্যাগই ব্যবহার করা হয়নি। এর থেকে মনে হচ্ছে, স্বেচ্ছাতেই এমনটা লিখেছেন ক্রিকেট অধিনায়ক। পোস্টটি অ্যাডভার্টাইজিং স্ট্যান্ডার্ডস কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার (ASCI) মার্কেটিং নির্দেশিকা লঙ্ঘন করে।
এ ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া ক্যাম্পেইনের জন্য এক-দেড় কোটি টাকা চার্জ করেন বিরাট কোহলি। পরে যদিও পোস্ট সংশোধন করে নিয়মানুসারে পেইড পার্টনারশিপ যোগ করা হয়।

জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ-
এর এক দিন পরেই, গত ২৮ জুলাই, বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ ইনস্টাগ্রামে নিজের একটি ছবি পোস্ট করেন। সেখানে তাঁকে ট্রেসেমে শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনারের বিষয়ে পোস্ট করতে দেখা যায়। তাতেও পেইড পার্টনারশিপের কোনও উল্লেখ ছিল না। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সাল থেকে হিন্দুস্তান ইউনিলিভার লিমিটেডের (এইচইউএল) এই হেয়ার কেয়ার ব্র্যান্ডের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে প্রচার করছেন তিনি।
কার্তিক আরিয়ান:
অভিনেতা কার্তিক আরিয়ানের ইনস্টাগ্রামে ২০ মিলিয়নেরও বেশি ফলোয়ার। সেখানে তিনি এনগেজ ডিওডরেন্ট এবং ডরিটোজ চিপস (পেপসিকোর অধীনস্থ)-এর অ্যাড পোস্ট করেন। কিন্তু প্রথমে তিনি কোনও পেইড পার্টনারশিপ ট্যাগ ব্যবহার করেননি। পরে যদিও তা সংশোধন করা হয়।
জাহ্নবী কাপুর:
নাইকা হট পিঙ্ক সেল নিয়ে পোস্ট করেছেন। কিন্তু পেইড পার্টনারশিপের ট্যাগ নেই।
অক্ষয় কুমার:
বায়োটেক ফার্ম মাইল্যাবসের সেল্ফ-টেস্ট কোভিড কিটের বিজ্ঞাপন শেয়ার করেছেন। নেই পেইড পার্টনারশিপের ট্যাগ।
এঁরা প্রত্যেকেই বিজ্ঞাপনী প্রচারের হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করেছেন, সংশ্লিষ্ট ব্র্যান্ডের অফিসিয়াল সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলকেও ট্যাগ করেছেন। কিন্তু তাঁরা ASCI এর নির্দেশ অনুযায়ী পেইড পার্টনারশিপ ট্যাগ দেননি পোস্টে।
বিতর্ক শুরু হওয়ার পর বিরাট কোহলি, কার্তিক আরিয়ান এবং ফার্নান্দেজ পোস্ট এডিট করেছেন। সেখানে ‘পেইড পার্টনারশিপ’ ট্যাগ লাগানো হয়েছে। এ বিষয়ে মিন্টের তরফে লাভলি প্রফেশনাল ইউনিভার্সিটি, হিন্দুস্তান ইউনিলিভার লিমিটেড এবং পেপসিকো ইন্ডিয়াকে মেল করা হলেও কোনও উত্তর মেলেনি।