দিনের শুরুটা ভয়ঙ্কর হয়েছিল। সেখান থেকে দিনের শেষে কিছুটা স্বস্তি ফিরল আদানি গ্রুপে। যে দুটি শেয়ার জোরদার ধাক্কা খেয়েছিল, বাজার বন্ধের সময় সেই আদানি এন্টারপ্রাইজ এবং আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইকোনমিক জোনস লিমিটেড ‘গ্রিন’ জোনে শেষ করল। তবে বাকি পাঁচটি শেয়ার ‘রেড’ জোনে থাকল।
বাজার বন্ধের সময় আদানি গ্রুপের শেয়ারের হাল
১) আদানি এন্টারপ্রাইজ: বিএসইতে একটা সময় ৩৫ শতাংশ পতন হয়েছিল। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে 'সবুজ' জোনে শেষ করেছে। আজ উত্থান হয়েছে ১.২৫ শতাংশ। বাজার বন্ধের সময় প্রতিটি শেয়ারের দাম পড়ছে ১,৫৮৪.২ টাকা।
২) আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইকোনমিক জোনস লিমিটেড: বিএসইতে আজ ৭.৯৮ শতাংশ উত্থান হয়েছে। প্রতিটি শেয়ারের দাম পড়ছে ৪৯৮.৮৫ টাকা।
৩) আদানি পাওয়ার: বিএসইতে বাজার বন্ধের সময় প্রতিটি শেয়ারের দাম ১৯২.০৫ টাকা। আজ পতন হয়েছে পাঁচ শতাংশ।
৪) আদানি ট্রান্সমিশন: বিএসইতে বাজার বন্ধের সময় আদানি ট্রান্সমিশনের প্রতিটি শেয়ারের দাম ঠেকেছে ১,৪০১.৫৫ টাকায়। আজ পতন হয়েছে ১০ শতাংশ।
৫) আদানি গ্রিন এনার্জি লিমিটেড: বিএসইতে বাজার বন্ধের সময় প্রতিটি শেয়ারের দাম ৯৩৪.২৫ টাকা ঠেকেছে। আজ পতন হয়েছে ১০ শতাংশ।
৬) আদানি টোটাল গ্যাস: বিএসইতে বাজার বন্ধের প্রতিটি শেয়ারের দাম ১,৬২৫.৯৫ টাকায় ঠেকেছে। আজ পতন হয়েছে পাঁচ শতাংশ।
৭) আদানি উইলমার: শুক্রবার বাজার বন্ধের সময় আদানি উইলমারের প্রতিটি শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ৪০০.৪০ টাকা। শুক্রবার পতন হয়েছে ৪.৯৯ শতাংশ।
বেলা ১২ টা ৩০ মিনিট
১) কিছুটা ঘুরে দাঁড়াল আদানি এন্টারপ্রাইজ। প্রথমে যেভাবে হুড়মুড়িয়ে পড়ছিল, সেখান থেকে কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বিএসইতে প্রতিটি শেয়ারের দাম পড়ছে ১,৩৩১.৯ টাকা। পতন হয়েছে ১৪.৮৮ শতাংশ।
২) আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইকোনমিক জোনস লিমিটেড: আপাতত প্রতিটি শেয়ারের দাম পড়ছে ৪৪৮.৫৫ টাকা। পতন হয়েছে ২.৯১ শতাংশ।
বিরোধীদের বৈঠকে গরহাজির তৃণমূল
আদানি ইস্যু নিয়ে বিরোধীদের বৈঠকে গরহাজির তৃণমূল কংগ্রেস। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের ডাকা বৈঠকে তৃণমূলের কোনও প্রতিনিধি থাকলেন না। তবে বৃহস্পতিবার ছিলেন।
সকাল ১১ টা ৩১ মিনিট (৯০ মিনিটে ৩৫% পতন! ৪৫ দিনে ৪,১৮৯.৫৫ টাকা থেকে Adani Ent নামল ১,০০০-র ঘরে)
শুক্রবার বাজার খোলার প্রথম ৯০ মিনিটেই ৩৫ শতাংশ হল আদানি এন্টারপ্রাইজের। সেইসময় ১,০১৭ টাকায় নেমে গিয়েছিল। যা ৫২ সপ্তাহের সর্বনিম্ন স্তরে ছিল। আপাতত (সকাল ১১ টা ৩১ মিনিট) প্রতিটি শেয়ারের দাম পড়ছে ১,১৬৬ টাকা (২৫.৪৮ শতাংশ পতন)।
লোকসভার অধিবেশন মুলতুবি
আদানি গ্রুপের ইস্যু নিয়ে বিরোধী হই-হট্টগোলের জেরে দুপুর দুটো মুলতুবি স্থগিত হয়ে গেল লোকসভার অধিবেশন। বিরোধী সাংসদরা দাবি করতে থাকেন, আদানির শেয়ারের পতনের ঘটনায় যৌথ সংসদীয় কমিটির তদন্ত করতে হবে।
সকাল ১০ টা ২০ মিনিট
১) আদানি এন্টারপ্রাইজ: হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের শেয়ার বাজারে 'ছেড়ে দে মা, কেঁদে বাঁচি' অবস্থা আদানি এন্টারপ্রাইজের। আপাতত প্রতিটি শেয়ারের দাম ১,১৭৩.৫৫ টাকা পড়ছে। যা এক বছরের সর্বনিম্ন স্তরে পৌঁছে গিয়েছে। আজই পতন হয়েছে ২৫ শতাংশ।
২) আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইকোনমিক জোনস লিমিটেড: আজও পতনের ধারা অব্যাহত। বিএসইতে ৫২ সপ্তাহের সর্বনিম্ন স্তরে নেমে গিয়েছিল (৪১৫.৮)। তারপর কিছুটা উত্থান হয়ে ১০ টা ২০ মিনিটে প্রতিটি শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ৪২৩.১৫ টাকা। আজ কমেছে ৮.৪১ শতাংশ।
৩) আদানি পাওয়ার: শুক্রবার বিএসইতে পাঁচ শতাংশ পতন হয়েছে। আপাতত (সকাল ১০ টা ২৪ মিনিট) প্রতিটি শেয়ারের দাম ১৯২.০৫ টাকা।
৪) আদানি ট্রান্সমিশন: বিএসইতে আদানি গ্রুপের আরও একটি শেয়ার আজ ৫২ সপ্তাহের সর্বনিম্ন স্তরে ঠেকেছে। আপাতত প্রতিটি শেয়ারের দাম পড়ছে ১,৪০১.৫৫ টাকা। যা ৫২ সপ্তাহের সর্বনিম্ন স্তর। আজ পতন হয়েছে ১০ শতাংশ।
৫) আদানি গ্রিন এনার্জি লিমিটেড: ৫২ সপ্তাহের সর্বনিম্ন স্তরে নেমে গিয়েছে। আপাতত প্রতিটি শেয়ারের দাম ঠেকেছে ৯৩৪.২৫ টাকায়। সেটাই ৫২ সপ্তাহের সর্বনিম্ন স্তর। আজ পতন হয়েছে ১০ শতাংশ।
৬) আদানি টোটাল গ্যাস: আজ পাঁচ শতাংশ পতন হয়েছে। আপাতত প্রতিটি শেয়ারের দাম পড়ছে ১,৬২৫.৯৫ টাকা।
৭) আদানি উইলমারের শেয়ার: আপাতত প্রতিটি শেয়ারের দাম ৪০০.৪০ টাকা। পতন হয়েছে ৪.৯৯ শতাংশ।
আদানি এন্টারপ্রাইজের শেয়ারের দাম
সকাল ৯ টা ২৫ মিনিটে আদানি এন্টারপ্রাইজের প্রতিটি শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ১,৪০৮.২৫ টাকা। যা ৫২ সপ্তাহের সর্বনিম্ন স্তর। আজ ১০ শতাংশ পতন হয়েছে।
সকাল ৯ টা ২৩ মিনিট
বাজার খোলার পর বিএসইতে (বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ) চড়ল সেনসেক্স। ০.৬ শতাংশ বা ৩৫৬.৯৩ পয়েন্ট সেনকেস্ট দাঁড়িয়েছে ৬০,২৮৯.১৭ পয়েন্ট। অন্যদিকে, ০.৩৪ শতাংশ উঠে নিফটি৫০ ঠেকেছে ১৭,৬৬৭.৪৫ পয়েন্টে।
১০০ কোটি বিলিয়ন ডলার উবে গেল আদানির
সংবাদসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শেয়ার বাজারে নথিভুক্ত আদানি গ্রুপের সাতটি সংস্থার মূলধন ১০০ কোটি বিলিয়ন ডলার কমে গিয়েছে। সেটাও হয়েছে মাত্র ছয়দিনে।
আদানি গ্রুপের ৩ সংস্থার উপর বাড়তি নজরদারি NSE-র
'হিন্দুস্তান টাইমস' গ্রুপের 'লাইভ মিন্ট'-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, আদানি এন্টারপ্রাইজ, আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইকোনমিক জোনস লিমিটেড এবং অম্বুজা সিমেন্টের উপর বাড়তি নজরদারি চালু করছে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ (এনসিই)। যা আজ (৩ ফেব্রুয়ারি) থেকে কার্যকর হচ্ছে। অর্থাৎ ওই তিনটি সংস্থার শেয়ারের উপর আরও কড়া নিয়ম জারি করছে এনএসই।
আরও পড়ুন: FPO বাতিল করল আদানি এন্টারপ্রাইজ, কিন্তু IPO ও FPO-র মধ্যে পার্থক্য কী?
বৃহস্পতিবার বাজার বন্ধের সময় আদানির সাতটি সংস্থার শেয়ারের কী অবস্থা হয়েছিল?
১) আদানি এন্টারপ্রাইজের শেয়ার: এফপিও প্রত্যাহারের পর বিএসইতে (বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ) ধসে গিয়েছে আদানি এন্টারপ্রাইজের শেয়ার। বৃহস্পতিবার বাজার বন্ধের সময় প্রতিটি শেয়ারের দাম নেমে যায় ১,৫৬৪,৭ টাকায়। পতন হয় ২৬.৫ শতাংশ। একটা সময় ৫২ সপ্তাহের সর্বনিম্ন স্তরেও নেমে গিয়েছিল (১,৫১৩.৯ টাকা)। যে সংস্থার গত এক বছরের সর্বোচ্চ স্তর হল ৪,১৮৯.৫৫ টাকা (২০২২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি)।
২) আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইকোনমিক জোনস লিমিটেডের শেয়ার: বৃহস্পতিবার বিএসইতে আদানি গ্রুপের আরও একটি শেয়ার ৫২ সপ্তাহের সর্বনিম্ন স্তরে পৌঁছে গিয়েছিল। একটা সময় প্রতিটি শেয়ারের দাম ঠেকেছিল ৪২৩ টাকায়। পরে তা বেড়ে বাজার বন্ধের সময় হয় ৪৬২ টাকা। সার্বিকভাবে বৃহস্পতিবার ৬.১৩ শতাংশ পতন হয়।
৩) আদানি পাওয়ারের শেয়ার: বৃহস্পতিবার ৪.৯৮ শতাংশ কমে গিয়েছে আদানি পাওয়ারের শেয়ারের মূল্য। বিএসইতে বাজার বন্ধের সময় প্রতিটি শেয়ারের দাম ঠেকে ২০২.১৫ টাকায়।
৪) আদানি ট্রান্সমিশনের শেয়ার: বৃহস্পতিবার বিএসইতে আদানি গ্রুপের আরও একটি শেয়ার ৫২ সপ্তাহের সর্বনিম্ন স্তর ছুঁয়ে ফেলেছে। বৃহস্পতিবার বাজার বন্ধের সময় প্রতিটি শেয়ারের দাম ঠেকে ১,৫৫৭.২৫ টাকায়। সেটাই ৫২ সপ্তাহের সর্বনিম্ন স্তর। বৃহস্পতিবার ১০ শতাংশ পতন হয়।
৫) আদানি গ্রিন এনার্জি লিমিটেডের শেয়ার: বৃহস্পতিবার বাজার বন্ধের সময় বিএসইতে ৫২ সপ্তাহের সর্বনিম্নে নেমে যায়। প্রতিটি শেয়ারের দাম ১,০৩৮.০৫ টাকায় ঠেকে। বৃহস্পতিবার আদানি গ্রিন এনার্জি লিমিটেডের শেয়ারের দর কমে যায় ১০ শতাংশ।
আরও পড়ুন: আদানিকে কত টাকা দেওয়া হয়েছে? ব্যাঙ্কগুলিকে জানাতে বলল RBI - রিপোর্ট
৬) আদানি টোটাল গ্যাসের শেয়ার: বৃহস্পতিবার বিএসইতে ১০ শতাংশ পতনের সাক্ষী থেকেছে। বাজার বন্ধের সময় প্রতিটি শেয়ারের দাম ঠেকে ১,৭১১.৫ টাকায়। যা ৫২ সপ্তাহের সর্বনিম্ন স্তরের (২০২২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ১,৫১৩ টাকা) থেকে খুব একটা দূরে নেই। অন্যদিকে, ৫২ সপ্তাহের সর্বোচ্চ স্তর হল ৩,৯৯৮.৩৫ টাকা। যে স্তরে চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি ছুঁয়েছিল। ঠিক পরদিনই হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়।
৭) আদানি উইলমারের শেয়ার: বৃহস্পতিবার ৪.৯৯ শতাংশ পতন হয়। বাজার বন্ধের সময় বিএসইতে প্রতিটি শেয়ারের দাম ঠেকে ৪২১.৪৫ টাকায়।
কেন আদানি গ্রুপ চাপের মধ্যে আছে?
চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি মার্কিন সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের তরফে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণা এবং কারচুপির অভিযোগ তোলে মার্কিন সংস্থা। যে অভিযোগ খারিজ করে দেয় আদানি গ্রুপ। তারপরই শেয়ার বাজারে আদানি গ্রুপের শেয়ারে ধস নামে।
শেয়ার বাজারে আদানি গ্রুপের হাল
রকেটের মতো উত্থান হয়েছিল। কিন্তু এখন শেয়ার বাজারে আদানি গ্রুপের যে ধস নেমেছে, তাতে কোনওভাবে লাগাম পড়ছে না। হুড়মুড়িয়ে পড়ছে শেয়ারের দাম। বৃহস্পতিবার তো আদানি গ্রুপের যে সাতটি সংস্থা শেয়ার বাজারে নথিভুক্ত আছে, সেগুলির মধ্যে পাঁচটি সংস্থাই ৫২ সপ্তাহের সর্বনিম্ন স্তরে নেমে গিয়েছে।
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক )