অগাধ আস্থা রেখেই দ্বিতীয়বার ডোনাল্ড ট্রাম্পকে মসনদে বসিয়েছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ক্ষমতা বিস্তারের প্রচেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে জনগণের মধ্যে যে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে, তা তাঁর জনপ্রিয়তায় প্রভাব ফেলছে। রয়টার্স ও ইপসোসের করা এক সমীক্ষায় এমন ইঙ্গিতই পাওয়া যাচ্ছে।
আরও পড়ুন-নতুন পোপ নির্বাচন! ৪ ভারতীয় কার্ডিনালের হাতে বিশেষ ক্ষমতা
ছয়দিন ধরে এই সমীক্ষা চলার পর সোমবার তা শেষ হয়। ১৬ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত চলা এই সমীক্ষায় ৪৩০৬ জন মার্কিন নাগরিক অংশ নেন। তাঁদের মধ্যে ৪২ শতাংশ নাগরিক ট্রাম্পের কার্যক্রমে সমর্থন জানিয়েছেন। তিন সপ্তাহ আগে এই হার ছিল ৪৩ শতাংশ আর ২০ জানুয়ারি ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পরে এই হার ৪৭ শতাংশ ছিল।
তবে সর্বশেষ ওই সমীক্ষায় উঠে এসেছে, প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে রেটিংয়ে ছাপিয়ে গিয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।দ্বিতীয়বার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই একের পর এক নির্দেশ দিয়ে বিভিন্ন সরকারি দফতর ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে আইনি প্রতিষ্ঠান পর্যন্ত নিজের প্রভাব বাড়িয়েছেন ট্রাম্প। এতে তাঁর রাজনৈতিক বিরোধীরা হতবাক হয়ে গিয়েছেন, আর সাধারণ জনগণের একাংশের মধ্যে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
আরও পড়ুন-নতুন পোপ নির্বাচন! ৪ ভারতীয় কার্ডিনালের হাতে বিশেষ ক্ষমতা
সমীক্ষায় অংশ গ্রহণকারী ৮৩ শতাংশ বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের উচিত ফেডারেল আদালতের রায় মান্য করা, এমনকী যদি তিনি নিজে তা নাও চান। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার ধরন নিয়ে দ্বিমত থাকায় প্রেসিডেন্টের তহবিল বন্ধ রেখে ঠিক করেছেন, এমন বক্তব্যের সঙ্গে একমত নন ৫৭ শতাংশ মার্কিন নাগরিক। এই সংখ্যার মধ্যে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ রিপাবলিকান সমর্থকও রয়েছেন।
আবার ৬৬ শতাংশ অংশগ্রহণকারী বলেছেন, জাতীয় জাদুঘর ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানগুলির নিয়ন্ত্রণ প্রেসিডেন্টের হাতে থাকা উচিত নয়। মুদ্রাস্ফীতি, অভিবাসন, করনীতি ও আইনের শাসন-সহ বিভিন্ন বিষয়ে ট্রাম্পের কার্যক্রমে যারা অসন্তুষ্ট, তাঁদের সংখ্যা প্রতিটি ক্ষেত্রেই সমর্থকদের তুলনায় বেশি, সমীক্ষায় এমন চিত্রই উঠে এসেছে।
অভিবাসন ইস্যুতে ট্রাম্প সবচেয়ে বেশি সমর্থন পেলেও সেখানে ৪৬ শতাংশ তাঁর কর্মকাণ্ডে অসন্তুষ্ট। সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ৫৯ শতাংশ, যাদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ রিপাবলিকান বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিশ্বাসযোগ্যতা হারাচ্ছে। ট্রাম্প তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট পদে লড়ার আগ্রহ প্রকাশ করলেও সংবিধান অনুযায়ী তা নিষিদ্ধ। সমীক্ষায় ৭৫ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, তাঁকে তৃতীয় মেয়াদে নির্বাচন করা উচিত নয়। এমনকি ৫৩ শতাংশ রিপাবলিকান অংশগ্রহণকারীও এ বিষয়ে একমত।