কৃষ্ণ কুমার ঝা ২০২০ সালের অক্টোবরে সমস্তিপুর জেলায় ট্রাফিক লঙ্ঘনের ঘটনায় সম্প্রতি একটি এসএমএস পেয়েছিলেন। সেখানে লেখা ছিল সিট বেল্ট না পরার জন্য তাঁকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘গত ২৭ এপ্রিল আমি বারাণসী যাচ্ছিলাম। আমি যখন ট্রেনে ছিলাম তখন ওই এসএমএস পাই।'
স্কুটিতে সিট বেল্ট না পরায় জরিমানা। প্রতীকী ছবি
গাড়ি চালানোর সময় সিল্ট বেল্ট না পরলে তা ট্রাফিক আইনে অপরাধ হিসেবে ধরা হয়। কিন্তু, স্কুটির ক্ষেত্রেও কি সিট বেল্ট না পরা ট্রাফিক আইনে অপরাধ? এমনই প্রশ্ন উঠেছে বিহারের একটি ঘটনায়, যেখানে সিট বেল্ট না পরায় এক স্কুটি চালককে ১০০০ টাকা জরিমানা করেছে বিহারের ট্রাফিক পুলিশ। এমনই এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হলেন বিহারের বাসিন্দা কৃষ্ণ কুমার ঝা। স্কুটিতে সিট বেল্ট না পরার জন্য জরিমানা করায় কার্যত হতবাক ওই ব্যক্তি।
যদিও যে ট্রাফিক পুলিশ এই জরিমানা করেছিলেন তাঁর পরিচয় জানা যায়নি। ঘটনা সামনে আসতেই তা ভাইরাল হয়ে যায়। তবে পুলিশের বক্তব্য, প্রথমে জরিমানার চালান হাতে কাটা হয়েছিল। এখন সেগুলিকে ই-চালানে রূপান্তর করার প্রক্রিয়া চলছে। এটিকে ত্রুটি বলে স্বীকার করে নিয়েছে পুলিশ। বিহার ট্রাফিক পুলিশের আধিকারিক বলবীর দাস বলেছেন যে কোনও ধরণের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে চালানটি জারি করা হতে পারে। উল্লেখ্য, এর আগেও গত মাসে এই ধরনের অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছিলেন ওড়িশার এক স্কুটি চালক। সেক্ষেত্রে তাঁকেও ১০০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। তিনি পরে দেখতে পান যে তাঁর নামের ই-চালানে অন্য কারও ছবি দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে ওড়িশার সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকের কাছে তিনি অভিযোগ করেন।