বেঙ্গালুরুতে এক হোটেল রুমে এক মহিলাকে তাঁর প্রেমিক ছুরিকাঘাতে হত্যা করল। ঘটনাটি গত শুক্রবার গভীর রাতে ঘটেছিল। কিন্তু খুনের দুই দিন পরে বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে। নিহতের নাম হরিণী, তাঁর বয়স ৩৬ বছর এবং অভিযুক্তের নাম যশ, বয়স ২৫ বছর। দু'জনেই বেঙ্গালুরুর পশ্চিম শহরতলির কেঙ্গেরির বাসিন্দা। পূর্ণা প্রজ্ঞা লেআউটের একটি ওয়ো হোটেল কক্ষে এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটে। সেখানেই হরিণীর সঙ্গে ছিল যশ। সুব্রাহ্মণ্যপুরা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে। (আরও পড়ুন: সুকমায় আইইডি বিস্ফোরণে মৃত্যু এএসপির, মাওবাদীদের হামলায় গুরুতর জখম আরও অনেকে)
আরও পড়ুন: ভিড়ের চাপে লোকাল থেকে ছিটকে পড়লেন বহু,পাশের লাইনের ট্রেনের ধাক্কায় মৃত অন্তত ৪
গত ৬ জুন রাতে এই হত্যাকাণ্ড ঘটলেও রবিবার হোটেলের কর্মীরা কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত ২৫ বছর বয়সি যশ একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। সে কেনগেরির বাসিন্দা এবং বর্তমানে যশ পলাতক। সুব্রহ্মণ্যপুরা পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, হরিণী সম্প্রতি সম্পর্ক ভাঙার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। এর জেরে যশের মধ্যে ক্ষোভ ও ঈর্ষার জন্ম নিয়েছিল বলে জানা গেছে। (আরও পড়ুন: মেঘালয়ে দম্পতি নিখোঁজ কাণ্ডে বৌদি সোনমকে খুনি হিসেবে মানতে নারাজ রাজার ভাই)
আরও পড়ুন: একদিন আগেই মেয়েকে খুঁজতে CBI চাইছিলেন, গ্রেফতারির পর কী বলছেন সোনমের মা-বাবা?
ডিসিপি (দক্ষিণ) লোকেশ বি জগলাসার এনডিটিভিকে বলেন, 'মেয়েটি যশের কাছ থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছিল এবং সেই কারণেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।' অভিযুক্ত হরিণীকে ১৭ বার ছুরিকাঘাত করেছিল বলে জানা গেছে। অভিযুক্ত যশের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, দুই সন্তানের মা হরিণী পারিবারিক চাপের মুখে পড়েছিলেন। এই বন্ধুত্ব তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে যথেষ্ট টানাপোড়েন সৃষ্টি করেছিল। পুলিশ জানিয়েছে যে তিনি যশকে বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছিলেন, তারা এভাবে এই সম্পর্ক চালিয়ে যেতে পারেন না। সম্ভবত এর জেরেই যশ চরম পদক্ষেপ গ্রহণ করতে প্ররোচিত হয়েছিল। এই আবহে সুব্রহ্মণ্যপুরা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং যশসের সন্ধানে তল্লাশি চলছে।