খুব তাড়াতাড়ি ওলার ই–স্কুটার ভারতে লঞ্চ হতে চলেছে। পৃথিবীর বৃহত্তম ইলেকট্রিক স্কুটার তৈরির কারখানা এখন প্রায় শেষের পথে। সম্প্রতি এই কথা নিজেই টুইট করে জানিয়েছেন ওলার কর্ণধার ভাবিশ আগরওয়াল। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ওলার এই উদ্যোগ দেশের পরিবহণ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনতে পারে। পাশাপাশি যেভাবে পেট্রল, ডিজেলের দাম ক্রমশ বাড়ছে, তা থেকেও সাধারণ মানুষ কিছুটা হলেও নিষ্কৃতি পেতে পারেন।
বেঙ্গালুরু থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে তামিলনাড়ুর বিশেষ অঞ্চলে ৫০০ একর জমির ওপর তৈরি হচ্ছে ওলার এই ইলেকট্রিক স্কুটার তৈরির কারখানা। জানা গিয়েছে, কারখানার প্রথম দফার কাজ প্রায় শেষ হওয়ার পথে। ওলার এই কারখানা তৈরিতে খরচ হচ্ছে ২৪১৬ কোটি টাকারও বেশি। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সংস্থার কর্ণধার ভাবিশ আগরওয়াল লিখছেন, মাত্র ৪ মাসের মধ্যে ফাঁকা পাথুরে রুক্ষ জমি পৃথিবীর বৃহত্তম টু হুইলার কারখানায় রূপান্তরিত করা হয়েছে। কারখানার প্রথম পর্যায়ের কাজ প্রায় সমাপ্ত। শীঘ্রই আসছে ওলার ই–স্কুটার লঞ্চের দিন। দ্রুত কাজ সম্পন্ন হওয়ায় উচ্ছ্বসিত ভাবিশ। বাজারে আসার পর ওলার ই–স্কুটার চালাতে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেজন্য আগাম প্রস্তুতি সেরে রাখছে এই সংস্থা। দেশজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় চার্জিং স্টেশন তৈরির ওপর জোর দিচ্ছেন তাঁরা। দেশজুড়ে তৈরি হবে হাইপারচার্জার নেটওয়ার্ক। এই নেটওয়ার্কের অধীরে দেশের ৪০০টি শহরে ১ লাখেরও বেশি চার্জিং স্টেশন রাখার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। চলতি বছরে ১০০টি শহরে ৫ হাজার চার্জার পয়েন্ট বসানোর কাজ শুরু হয়ে যাবে। তারমধ্যে কয়েকশো চার্জিং পয়েন্ট বসানোর কাজ স্কুটার লঞ্চের আগেই শেষ হয়ে যাবে। ওলার এই হাইপারচার্জার নেটওয়ার্ক দুই ধরনের ফরম্যাটে কাজ করবে। একটি হল ভার্টিকাল টাওয়ার ভিত্তিক চার্জার ও আরেকটি হল বিভিন্ন শপিং মল, রেস্তোরাঁ বা কাফে, আইটি পার্ক, অফিস কমপ্লেক্সের মতো জায়গায়, যেখানো লোক সমাগম বেশি হয়, সেখানে এই চার্জিং পয়েন্ট থাকবে।
জানা যাচ্ছে, ই–স্কুটারের ব্যাটারিকে ১৮ মিনিটে ৫০ শতাংশ চার্জ করা সম্ভব হচ্ছে। অর্ধেক চার্জ দেওয়া থাকলে ৭৫ কিলোমিটার যেতে পারবে এই স্কুটার। ব্যাটারি যদি ফুল চার্জ দেওয়া থাকে, তাহলে ১৫০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে পারবে। ওলার এই ই–স্কুটার তৈরির কারখানায় বছরে প্রায় ১ কোটি স্কুটার তৈরি হবে। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ১০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে এই কারখানার মাধ্যমে।