সম্প্রতি গ্লোবাল পিস ইনডেক্সের তরফে বিশ্বের ১৬৩টি দেশ নিয়ে একটি বিশেষ সমীক্ষা প্রকাশ করা হয়েছে। কোন দেশের নাগরিকরা কতটা শান্তিতে আছেন, ভালো আছেন তার নিরিখেই এই তালিকা তৈরি করা হয়। সেই সমীক্ষাতেই ধরা পড়েছে বিভিন্ন দেশের শান্তি ও অশান্তির ছবিটা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে এই তালিকায় শান্তির নিরিখে ‘নম্বর’ দেওয়া হয়েছে। এর পর ক্রমে ক্রমে সাজানো হয়েছে। সেই তালিকারই সবচেয়ে নিচে ভারতের খুব কাছের একটি দেশ। এমনকী ‘অশান্ত’ দেশের তকমা পেয়েছে আরও বেশ কয়েকটি পরিচিত নামও। তালিকার শীর্ষে রয়েছে বিভিন্ন মহাদেশের কয়েকটি দেশ। ইউরোপসহ এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়া বেশ কয়েকটি দেশ রয়েছে তালিকার উপর দিকে। ‘শান্ত’ দেশ হিসেবেই ওই দেশগুলিকে চিহ্নিত করা হয়েছে গ্লোবাল পিস ইনডেক্সে। প্রথমে আসা যাক সেই দেশগুলির কথায়।
সন্তান প্রায়ই ভুলে যায় পড়াশোনা? কীভাবে বাড়তে পারে স্মৃতিশক্তি
তখন অনেকটাই ধীরে চলত সময়! ব্রহ্মাণ্ডের ‘ছোটবেলা’ কেমন ছিল? জানালেন বিজ্ঞানীরা
রাজনৈতিকভাবে শান্ত, সামাজিকভাবে সুন্দর দেশগুলির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে আইসল্যান্ড। ইউরোপের এই দেশটিই পেয়েছে সর্বোচ্চ নম্বর। অন্য দিকে প্রথম ১০টি দেশের তালিকায় রয়েছে ডেনমার্ক, আয়ারল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রিয়া, সিঙ্গাপুর, পর্তুগাল, স্লোভেনিয়া, জাপান ও সুইজারল্যান্ড। প্রসঙ্গত এই তালিকার মধ্যে সাতটি দেশ ইউরোপ মহাদেশের অন্তর্গত। অন্য দিকে জাপান, সিঙ্গাপুর এশিয়ায় ও নিউজিল্যান্ড ওশিয়ানিয়া মহাদেশের অন্তর্গত দেশ। তবে শান্ত দেশগুলির তুলনায় ‘অশান্ত’ দেশগুলির চিত্র অনেকটাই ভয়াবহ। অশান্ত দেশগুলির তালিকায় একেবারে চরম অবস্থায় রয়েছে আফগানিস্তান। সেই দেশে তালিবান শাসন শুরু হওয়ার পর থেকে নাগরিকরা আর ভালো নেই। এমনটাই উঠে এসেছে একাধিক সমীক্ষায়। সম্প্রতি গ্লোবাল পিস ইনডেক্সও তাই জানাচ্ছে। অন্য দিকে আফগানিস্তানের পরেই রয়েছে ইয়েমেন, সিরিয়া, দক্ষিণ সুদান, ডেমোক্রেটিক রাপাবলিক অব কঙ্গো, রাশিয়া, ইউক্রেন, সোমালিয়া, সুদান ও ইরাক।
প্রসঙ্গত, ইয়েমেন থেকে সিরিয়াসহ অন্যান্য দেশগুলি বেশিরভাগই পশ্চিম এশিয়া ও আফ্রিকার দেশ। এছাড়াও গত বছর থেকে একটানা যুদ্ধের আবহে অশান্ত হয়ে উঠেছে রাশিয়া ও ইউক্রেন। রাশিয়ার দখলদারি মানসিকতার জেরে অতিষ্ঠ হয়েছে ইউক্রেনের অসংখ্য নাগরিক। অনেককেই দেশ ছেড়ে পালাতে হয়েছে রীতিমতো। সুদান, ইরাক, সিরিয়া সহ দেশগুলি বহু দিন ধরেই যুদ্ধ বিধ্বস্ত অবস্থার মধ্যে রয়েছে। রাজনৈতিক উত্তাপ অতিষ্ঠ করে তুলেছে সাধারণ নাগরিকদের জীবন। এর পাশাপাশি রয়েছে সন্ত্রাস ও তার মোকাবিলায় নানা আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা। সব মিলিয়ে টালমাটাল পরিস্থিতির কারণে এই দেশগুলিতে নাগরিকরা মোটেই শান্তিতে নেই।