বহু শিশুই খাবার সময় বিভিন্ন বায়না করে থাকে। খাবার দেখলেই তাদের নানান অজুহাত শুরু হয়ে যায়। ফলে অল্প খাবার খেয়েই তারা উঠে যায়। চিকিৎসকরা বলছেন, এতে অনেকটা ফাঁক থেকে যায় পুষ্টিতে। বহু শীর্ণকায় শিশুকেই দেখা যায় খেতে খুব একটা পছন্দ করে না, আবার তাদের ওজনের কমতিকে কেন্দ্র করে রীতিমতো উদ্বেগ শুরু হয় অভিভাবকদের। বিশেষজ্ঞরা এক্ষেত্রে কয়েকটি খাবারের পদের নাম উল্লেখ করছেন, যা খেলে বাচ্চার ওজন বাড়তে বাধ্য!
কলা
সন্তানের ওজন বাড়াতে কলা সবচেয়ে কার্যকর। আপনি একটি কলা শেক তৈরি করে সন্তানকে দিতে পারেন। সেই সঙ্গে তাদের খাদ্যতালিকায় কলার পরিমাণ বাড়াতে চাইলে কলার রুটিও বানাতে পারেন। কলায় অনেক পুষ্টিগুণ পাওয়া যায়। কলায় রয়েছে, A, B, B6, C ও ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন। থাকে পটাশিয়াম ও ফলিক অ্যাসিড।
ডিম
প্রোটিনের সেরা উৎস হল ডিম। সন্তানকে প্রতিদিন একটি করে সেদ্ধ ডিম খাওয়াতে হবে। আপনি অন্য কিছু ডিম রেসিপি চেষ্টা করতে পারেন।ডিমে থাকে স্যাচুরেটেড ফ্যাট, প্রোটিন, ভিটামিন এবং মিনারেল। ডিমকে আরও পুষ্টিকর করতে আপনি আরও কিছু সবজি যোগ করতে পারেন। ডিমের তরকারি বাচ্চারাও খুব পছন্দ করে।
অ্যাভোকাডো
অ্যাভোকাডো ভিটামিন ই, সি, কে এবং ফোলেট, কপার, ডায়েটারি ফাইবার এবং প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ। আপনি একটি ফলের সালাদ তৈরি করতে পারেন এবং এতে অ্যাভোকাডো যোগ করতে পারেন। তবে বহু শিশুই অ্যাভোকাডো খেতে একেবারেই পছন্দ করে না। সেক্ষেত্রে অ্যাভোকাডো জুস তৈরি করতে পারেন।
ঘি
বহু শিশুই এমনি এমনি ঘি খাওয়ার বায়না করে থাকে। আর যারা তা করে না, তাদের ওজন যদি তুলনামূলক কম হয়, তাহলে চিনি দিয়ে ঘি দিয়ে মাঝে মাঝেই তাদের খেতে দিতে পারেন। ঘোরাফেরার মাঝে ঘি খেলে শিশুর ওজন বাড়তে পারে। ঘিতে রয়েছে ভিটামিন, এ, ডি, ফসফরাস, মিনারেল, পটাশিয়াম।
ডাল
ডালে রয়েছে প্রোটিন, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালশিয়াম, আয়রন, ফাইবার। শিশুদের জন্য অড়হর ও মুগডাল খুবই ভাল। এটি পুষ্টিবর্ধক।