
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
বর্তমান জীবনে কর্মক্ষেত্রের চাপ ও পারিবারিক দায়িত্বের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা অনেকের কাছেই বড় চ্যালেঞ্জ। অফিসে নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করে বাড়িতে এসে স্ত্রীর সঙ্গে মানসিক যোগাযোগ বজায় রাখা প্রতিটি দাম্পত্য সম্পর্কের জন্য অত্যন্ত জরুরি।
প্রথমেই বুঝে নিতে হবে, কোন সময়ে কোনটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। অফিসের কোনও গুরুত্বপূর্ণ মিটিং থাকলে সেটা আগে শেষ করুন। ডিজিটাল ক্যালেন্ডার বা রিমাইন্ডার ব্যবহার করে বিশেষ দিনগুলি মনে রাখা এখন আর কঠিন নয়। অফিস মিটিং, প্রজেক্ট ডেডলাইন এবং পাশাপাশি স্ত্রীর জন্মদিন বা বিবাহবার্ষিকী সবই তালিকাভুক্ত করে রাখলে সহজে ভুলবেন না।
কর্মব্যস্ত সময়েও স্ত্রীর সঙ্গে ছোট বার্তা বা ফোনে খোঁজ নেওয়া সম্পর্ককে দৃঢ় করতে সাহায্য করে। বাড়িতে এসে অফিসের চাপ ঝেড়ে ফেলতে পারলেই পরিবারের সঙ্গে ভালো সময় কাটানো সম্ভব।
সপ্তাহে অন্তত একদিন, যেখানে অফিসের কাজ থেকে পুরো ছুটি থাকবে, সেটি শুধুই স্ত্রী ও পরিবারের জন্য বরাদ্দ রাখুন। একসঙ্গে সিনেমা দেখা, বাইরে খাওয়া বা হালকা ঘুরতে যাওয়া সম্পর্ককে প্রাণবন্ত রাখে।
স্ত্রীর চাহিদা ও অনুভূতিকে গুরুত্ব দিন। একইসঙ্গে অফিসের কাজের চাপ সম্পর্কে তাকেও সচেতন করুন। এতে দুইপক্ষই একে অপরের দায়িত্ব বুঝতে সক্ষম হবে।
স্ত্রীর ছোট কাজেরও প্রশংসা করুন—তা সে রান্না হোক, সন্তানের যত্ন হোক বা আপনার জন্য কোনো সহযোগিতা হোক। প্রশংসা করলে তিনি বুঝবেন আপনি তাঁকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। অফিসে লাঞ্চের ফাঁকা সময়ে এগুলি করতে পারেন।
পরিবার ও ক্যারিয়ার দুই ক্ষেত্রেই ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা একসঙ্গে করলে একে অপরকে বোঝা সহজ হয়। যেমন—অফিস থেকে প্রোমোশন পেলে কীভাবে পরিবারের জন্য সময় বাড়াবেন বা কোনও বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে একে অপরের সঙ্গে আলোচনা করুন।
কাজের ফলোআপ বা মিটিং ম্যানেজ করার জন্য প্রযুক্তির সহায়তা নিন যাতে সংসার ও পেশাগত জীবনের মধ্যে দ্বন্দ্ব না হয়। অফিস ও ঘর দুটোই আপনার, তাই দুটোর ক্ষেত্রেই পরিকল্পনা দরকার। সফল দাম্পত্য জীবনের জন্য অফিস ও সংসারের ভারসাম্য বজায় রাখা একান্ত দরকার। সময়ের সঠিক ব্যবস্থাপনা, পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সচেতন যোগাযোগই এই ভারসাম্য রক্ষা করতে পারে।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports