আজ ১ জুলাই, ডাক্তার বিধান চন্দ্র রায়ের জন্মদিন। এইদিন উৎসর্গ করা হয় সেই সমস্ত মানুষদের, যারা প্রতি নিয়ত মানুষের সেবায় নিজেদের নিয়োজিত করে রেখেছেন। মানুষের কাছে চিকিৎসকরা ‘দ্বিতীয় ভগবান’, কিন্তু চিকিৎসা পেশায় এসে চিকিৎসকরা কতটা খুশি? জানেন বলছেন চিকিৎসকরা?
অর্থপেডিক সার্জেন ডক্টর মনন ভোরা এই প্রসঙ্গে বলেন, “একজন ডাক্তার হওয়া আমার কাছে স্বপ্ন ছিল। অনেক চাকরি রয়েছে করার মত কিন্তু অন্য কোনও পেশায় মানুষের সেবা করার সুযোগ পাওয়া যায় না। মানুষের সেবা করে তাদের মুখে হাসি ফোটানোর একটা আনন্দই আলাদা।"
এমবিবিএস, এমডিএ ডক্টর ঐশীকা চক্রবর্তী বলেন, “আমি একটা কথা বলতে চাই, অনেক প্রশিক্ষণ এবং দক্ষতা থাকা সত্ত্বেও দিনের শেষে আমরা যে মানুষ, এটা সকলকে বুঝতে হবে। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করি মানুষের প্রাণ বাঁচানোর জন্য, কিন্তু তারপরেও যখন আমরা ব্যর্থ হই তখন স্বাভাবিকভাবেই সেই কষ্টের সীমা পরিসীমা থাকে না। তবে যারা ভাবেন, চিকিৎসকদের দোষে সবকিছু হয়, তাঁদের বলব একটু মানবিক হতে।"
(আরও পড়ুন: 'আপনাকে মুগ্ধ করে দেবে...' অন্ধ্র প্রদেশের আরাকুর কফির স্বাদে মুগ্ধ প্রধানমন্ত্রী, প্রচার করে কী বললেন?)
পেড্রিয়াটিক কার্ডিয়লজিস্ট পঙ্কজ সুগাকর বলেন, “ক্যানসার বা অন্য কোনও জটিল বা বিরল রোগে শিশুরা আক্রান্ত হলে সেই খবর বাচ্চার বাবা-মাকে জানাতে আমরা বাধ্য হই, কিন্তু এটি আমাদের জন্য ভীষণভাবে বেদনাদায়ক একটা মুহূর্ত হয়ে ওঠে। আমরা চাই একটি শিশু সব সময় খেলাধুলা করুক। কিন্তু সেই শিশুটি যখন অসুস্থ হয় বা কষ্ট পায়, তার বাবা মার কষ্ট পাওয়ার সাক্ষী হওয়াটাও ভীষণ বেদনা দায়ক। এ সমস্ত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়ে প্রায়ই রাতে ঘুম হয় না।"
এমবিবিএস, এমডি, ডঃ ইমরান প্যাটেল বলেন, “আমরা শারীরিক সুস্থতার দিকে নজর দেওয়ার পাশাপাশি মানসিক সুস্থতার দিকেও গুরুত্ব দেওয়ার চেষ্টা করি। রোগীদের সঙ্গে আমরা এমন ভাবে কথা বলি, যাতে তারা মানসিকভাবে অন্তত সুস্থ হয়ে উঠতে পারে। মনের জোর থাকলে তবেই একজন রোগী শারীরিকভাবেও সুস্থ হয়ে উঠবে।"
(আরও পড়ুন: নিজেকে বেশি শান্ত করে রাখা কি মনে আরও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে? কেন হয় এটি?)
অর্থপেডিক ডক্টর রাহুল চাঁদহোক বলেন, “একজন রোগী যখন দীর্ঘ চিকিৎসার পর হাসিমুখে আমাদের বলেন, আমি সম্পূর্ণ সুস্থ। তাঁদের আত্মবিশ্বাস দেখে সত্যি মনে হয় একজন ডাক্তার হিসেবে আমরা সফল। এই ছোট ছোট মুহূর্ত গুলো আমাদের এগিয়ে যেতে সাহায্য করে।"
মানুষের ডাক্তারের পাশাপাশি পোশ্য প্রাণীদের ডাক্তারদেরও উদ্দেশ্যে পালন করা হয় ডাক্তার দিবস। পোষ্য প্রাণীদের পুষ্টিবিদ অঞ্জলি কালাচাঁদ বলেন, “যখন আমরা কোনও প্রাণীর চিকিৎসা করতে শুরু করি তখন খুব কম সময়ের মধ্যে আমাদের জীবনের একটি অংশ হয়ে ওঠে সেই প্রাণীটি। পোষ্য প্রাণীদের যারা বাড়িতে রাখছেন, তাদের এই প্রাণীদের সঠিক পুষ্টির দিকে খেয়াল রাখতে হবে। সঠিক ডায়েট অ্যাসিডিটি বা ত্বকের সমস্যার সমাধান করে দিতে পারে। আমরা সব সময় পেট পেরেন্টদের গাইড করার চেষ্টা করি, যাতে তাঁরা সঠিক পদ্ধতিতে পোষ্যদের খেয়াল রাখতে পারেন।"