ট্যাটুর নেশা কর্মনাশা? এমন ছন্দ মেলানো কথাই কি তবে সত্যি? অনেকের অনেকরকম মত হতে পারে। তবে ব্রিটেনের কেউ কেউ অবশ্য এমনটাই মনে করেন। সেই দেশের কিছু সংস্থার কর্তৃপক্ষ মনে করেন সারা দেহে এতো ট্যাটু থাকলে সে কর্মী কাজ করতে পারবে না। সম্প্রতি সেই ভাবনারই শিকার এক মধ্যবয়স্ক মহিলা। তাঁর সারা শরীরে ৮০০টি ট্যাটু রয়েছে। ট্যাটুতে ট্যাটুতে ভরে গিয়েছে সারা শরীর। সম্প্রতি সেই কারণেই চাকরি গিয়েছে তাঁর। অন্যদিকে নতুন চাকরি খুঁজতে গিয়েও বারবার ব্যর্থ হচ্ছেন তিনি। সর্বাঙ্গে ট্যাটুর বহর দেখে কেউই তাঁকে কাজে নিতে রাজি নন।
সন্তান প্রায়ই ভুলে যায় পড়াশোনা? কীভাবে বাড়তে পারে স্মৃতিশক্তি
তখন অনেকটাই ধীরে চলত সময়! ব্রহ্মাণ্ডের ‘ছোটবেলা’ কেমন ছিল? জানালেন বিজ্ঞানীরা
প্রসঙ্গত ৪৬ বছর বয়সি মেলিসা স্লোয়ান ব্রিটেনের ওয়েলসের বাসিন্দা। দুই মেয়ের মা মেলিসার শখ বলতে ওই ট্যাটুই। কিছু দিন আগেও তিনি বাড়ি বাড়ি টয়লেট পরিষ্কারের কাজ করতেন। কিন্তু হঠাৎ করেই সেই কাজ থেকে তাঁকে বরখাস্ত করা হয়। তার পর থেকে কাজ খুঁজে খুঁজে রীতিমতো হয়রান তিনি। কেউই তাঁর ট্যাটু দেখে কাজ দিতে চায় না। সংবাদ মাধ্যম নিউ ইয়র্ক পোস্টকে মেলিসা বলেছেন, তাঁকে কালই যদি কোনও সংস্থা কাজে নেয়, তিনি যেতে রাজি। তাঁর ট্যাটু যে কী সমস্যা করছে, তাও তিনি বুঝতে পারছেন না। রীতিমতো মনখারাপ করেই তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, কিছুতেই কাজ পাচ্ছি না! কারও কারও কাছে মেলিসাকে শুনতে হয়েছে, তিনি নাকি কখনই কাজকর্ম করেননি। অথচ কিছু দিন হলেও টয়লেট পরিষ্কারের একটি কাজ করতেন মেলিসা।
প্রসঙ্গত ২০ বছর বয়সে প্রথম ট্যাটু করা শুরু করেন মেলিসা। তখন থেকেই নিয়মিত ট্যাটু করতেন তিনি। ইদানীং জীবন যদিও চলছে না আর সোজা পথে, তবু প্রতি সপ্তাহে তিনটি করে ট্যাটু চাই-ই চাই। ওই নেশা নিয়ে বেঁচে আছেন যেন মেলিসা। মুখে ট্যাটু করাই বেশি পছন্দ তাঁর। ইতিমধ্যেই মুখে তিন স্তরে ট্যাটু করিয়ে ফেলেছেন। তাঁর ইচ্ছে ৭০ বছর বয়স পর্যন্ত ট্যাটু করে যাওয়া। এমনকী ত্বকের কোনও অংশই তিনি ‘ফাঁকা’ রাখতে চান না। ট্যাটুময় হয়ে উঠুক শরীর, এমনটাই ইচ্ছে তাঁর। কিন্তু বর্তমানে এর জেরেই কাজ পাওয়া রীতিমতো দুরূহ হয়ে উঠেছে। কী করে এই সমস্যার সমাধান হবে তাও বুঝতে পারছেন না তিনি। তবে কাজের খোঁজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলেই জানান মেলিসা।