Maneka Gandhi’s Statement on Donkey’s Milk: গাধার দুধের সাবান মাখলে মহিলাদের শরীর সুন্দর থাকে। মনেকা গান্ধীর এই মন্তব্য ঘিরে নানা মহলে জল্পনা চলছে। কী বলছে বিজ্ঞান? কথাটি কি ঠিক?
মানেকা গান্ধী যা বলেছেন, তা কি ঠিক?
সাংসদ এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মানেকা গান্ধীর একটি মন্তব্য নিয়ে হালে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে নানা মহলে। সম্প্রতি এক সমাবেশে বক্তৃতা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, কীভাবে পশুদের নানা কাজে লাগিয়ে অর্থ উপাজর্ন করা যায়। এ প্রসঙ্গে তিনি প্রথমেই বলেন, মৃতদেহ দাহ করার ক্ষেত্রে জ্বালানি কাঠ বাবদ বিপুল খরচ হয়। তার জায়গায় গোবর থেকে তৈরি ঘুঁটেকে জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার করলে খরচ অনেক কমে। তাছাড়া গোপালনকারীরা এর থেকে প্রচুর অর্থ উপার্জনও করতে পারেন। এর পরেই তিনি রূপচর্চার বিষয়ে একটি মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, গাধা এখন আর দেখতে পাওয়া যায় না। গাধার সংখ্যা কমে যাচ্ছে। কিন্তু এই গাধার দুধ কাজে লাগিয়েই লাদাখের মানুষ সাবান বানাচ্ছেন। সেই সাবান দিল্লিতে ৫০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। তাঁর বক্তব্য, গাধার দুধের সাবান ব্যবহার করলে মহিলাদের শারীরিক সৌন্দর্য বজায় থাকে। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি ইতিহাসের উদাহরণও টেনে আনেন। বলেন, প্রাচীন কালে রানি ক্লিয়োপেট্রাও গাধার দুধে স্নান করতেন সৌন্দর্য ধরে রাখার জন্য।
কিন্তু তাঁর এই দাবি কত দূর সত্যি? কী বলছে বিজ্ঞান?
বিজ্ঞান বলছে, গাধার দুধে প্রচুর পরিমাণে খনিজ এবং ভিটামিন রয়েছে। এর অধিকাংশই ত্বকের জন্য খুবই ভালো। তাছাড়া গাধার দুধে যে স্নেহপদার্থ থাকে, সেটি ত্বককে শুষ্ক হতে দেয় না। আর তাই ত্বকের নমনীয়তা বজায় থাকে। কিন্তু এই কথাটি শুধুমাত্র গাধার দুধের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। গরু বা মোষের দুধের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। সেগুলি ত্বকে লাগালেও ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকে। ফলে ত্বক নমনীয় হয়।
তাছাড়া গাধার দুধে অতিরিক্ত মাত্রায় প্রোটিন থাকে। এটিও ত্বকের জন্য ভালো। তবে শুধুমাত্র নারীদের ত্বকের ক্ষেত্রেই এই দুধ ভালো ভাবে কাজ করে, এমন কোনও প্রমাণও নেই। এটি নারী, পুরুষ বা শিশু— যে কোনও কারও ত্বকের ক্ষেত্রে আর্দ্রতা ধরে রাখা এবং পুষ্টি প্রদানের কাজ করতে পারে।
তবে গাধার দুধে আলাদা করে এমন কোনও উপাদান নেই, যা সৌন্দর্য বাড়াতে পারে। এমনই বলছে বিজ্ঞান। একই ধরনের উপাদান যদি অন্য কোনও উদ্ভিজ্জ বস্তুতে থাকে, তাহলে সেগুলিও ত্বকের জন্য ভালো বলে প্রমাণিত হতে পারে। এমনই মত বিজ্ঞানীদের।