২০২৪ সর্বকালের উষ্ণতম বছর। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই, এ বছর গড় তাপমাত্রা এত বেড়েছে, বৈশ্বিক তাপমাত্রার দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। এমনকি যে সময় এত শিল্প-কারখানা-ইন্ডাস্ট্রির রমরমা ছিল না, এই সময়ের তুলনায় এই বছরের গড় তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইউরোপের জলবায়ু পরিবর্তন সংস্থা কোপার্নিকাস গবেষণায় জানিয়েছে যে ২০২৩ সালের নভেম্বর ছিল সর্বকালের সবচেয়ে উষ্ণ মাস। এইবার নভেম্বরে, ভূপৃষ্ঠের বায়ুর গড় তাপমাত্রা ছিল ১৪.১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা ১৯৯১ থেকে ২০২০ সালের গড় তাপমাত্রার চেয়ে ০.৭৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। এ ছাড়া এ বছর তাপমাত্রাও রেকর্ড ভেঙেছে এবং নভেম্বর ছিল ইতিহাসের দ্বিতীয় উষ্ণতম মাস। ২০২৪ সালের নভেম্বরে গড় বৈশ্বিক তাপমাত্রা প্রাক-শিল্প সময়ের চেয়ে ১.৬২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি হবে। এছাড়াও, গড় বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: (Child Care Tips: ছোট্ট খুদেকে মাসাজ করার সময় খেয়াল রাখুন ৫ টিপস, মজবুত হবে হাড় ও পেশি)
বয়স্কদের তুলনায় তরুণরা বেশি ঝুঁকিতে
প্রচণ্ড তাপ বয়স্কদের তুলনায় অল্পবয়সী ব্যক্তিদের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। নতুন এক বিশ্লেষণে এ তথ্য উঠে এসেছে। আরও দেখা গিয়েছে যে মেক্সিকোতে ১৯৯৯-২০১৯ সাল পর্যন্ত তাপজনিত মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন ৩৫ বছরের কম বয়সী ৭৫ শতাংশ ব্যক্তি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির গবেষকরা সহ অন্যরাও এ ঘটনায় অবাক। বয়স্ক ব্যক্তিদের তুলনায় অল্পবয়সীদের যেখানে সবচেয়ে শক্তিশালী বলে মনে করা হয়, সেখানে দাঁড়িয়ে এমন পরিস্থিতি ভাবনার অতীত। কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির জলবায়ু স্কুলের সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল ইকোনমিক্স অ্যান্ড পলিসির সহ-লেখক জেফরি শ্রেডারের কথায়, এটি আশ্চর্যজনক।
দুই দশকে মারা গিয়েছেন ৩৩০০ জন
সায়েন্স অ্যাডভান্সেস জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায়, গবেষকদের এই দল, 'ওয়েট-বাল্ব' তাপমাত্রার উপর ভিত্তি করে অতিরিক্ত মৃত্যুর - অর্থাৎ গড়ের উপরে বা তার কম মৃত্যুর সংখ্যা বিশ্লেষণ করেছেন। দেখেছেন যে গত দুই দশক ধরে, সে দেশে প্রতি বছর প্রায় ৩,৩০০ তাপজনিত মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে প্রায় এক তৃতীয়াংশ ১৮-৩৫ বছর বয়সী মানুষের মধ্যে ঘটেছে। পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদেরও গরমে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হতে দেখা গিয়েছে। তবে, দলটি এটাও খুঁজে পেয়েছে যে ৫০ বছর বা তার বেশি বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে তাপজনিত মৃত্যুর সংখ্যা কম। পরিবর্তে, ৫০ বছরের বেশি বয়সের ব্যক্তিরা ঠান্ডার সময় মূলত ছোটখাটো সর্দিতে মারা যান।