আমার চোখের নিচে আগে কখনও কালো দাগ পড়েনি। কিন্তু, গত কয়েক মাস ধরে আমি এগুলো নিয়ে বিরক্ত। আমি খুব বেশি স্ক্রিন টাইমও করি না এবং কম ঘুমাইও না। দয়া করে কিছু ঘরোয়া প্রতিকারের পরামর্শ দিন, যার সাহায্যে এই কালো দাগগুলি এক মাসের মধ্যে দূর হয়ে যেতে পারে। - অঞ্জলি, দেহরাদুন
কালো দাগ কেবল কম ঘুম বা অতিরিক্ত স্ক্রিন ব্যবহারের কারণেই হয় না। এছাড়াও, শরীরে জলের অভাব, থাইরয়েডের সমস্যা এবং ভিটামিন বি, কে, ই এবং ডি এর অভাবও চোখের নিচে কালো দাগের জন্য দায়ী হতে পারে। সানস্ক্রিন ছাড়া দীর্ঘক্ষণ রোদে থাকলে চোখের নিচে কালো দাগ হতে পারে। চোখ ঘষা এবং মানসিক চাপের কারণেও এই সমস্যা হতে পারে। চোখের নিচে কালো দাগ দূর করতে কাঁচা আলু কুঁচি করে চোখের নিচে লাগান এবং কিছুক্ষণ রেখে দিন। কাঁচা আলুতে একটি এনজাইম থাকে, যা ব্লিচ হিসেবে কাজ করে। নিয়মিত কাঁচা আলু ব্যবহার করলে কালো দাগ দূর হবে। আপনি চাইলে রাতে ঘুমানোর আগে কাঁচা দুধে তুলো ডুবিয়ে কিছুক্ষণ চোখের নিচে রাখুন। কাঁচা দুধ ত্বকের রঙ উন্নত করার ক্ষমতা রাখে। এছাড়াও, অ্যালোভেরা জেলের সাথে সামান্য নারকেল তেল বা বাদাম তেল মিশিয়ে চোখের নিচের অংশে ম্যাসাজ করুন। এটি কালো দাগ দূর করতেও সাহায্য করবে।
গত কয়েক মাস ধরে আমার মুখে প্রচুর অবাঞ্ছিত লোম দেখা দিতে শুরু করেছে। এর কারণ কী হতে পারে? অবাঞ্ছিত মুখের লোম থেকে মুক্তি পাওয়ার সবচেয়ে কার্যকর উপায় কী? - অঙ্কিতা ত্রিপাঠি, গোরখপুর।
মুখের অবাঞ্ছিত লোম হঠাৎ করে অতিরিক্ত অবাঞ্ছিত লোমের একটি প্রধান কারণ হল শরীরের হরমোনের পরিবর্তন। প্রথমেই বিবেচনা করুন যে আপনার মাসিক সময়মতো হচ্ছে কিনা। এই বিষয়ে আপনার স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ বা চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন। তারা প্রয়োজনীয় রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে আপনাকে বলতে পারবেন যে হরমোনের পরিবর্তনগুলি মুখে এই লোম দেখা দেওয়ার জন্য দায়ী কিনা। অনেক সময়, থাইরয়েডের মাত্রার পরিবর্তনের কারণেও মুখের অবাঞ্ছিত লোম দ্রুত বৃদ্ধি পায়। এটি শুধুমাত্র রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমেই জানা যেতে পারে। এটি কেবল সৌন্দর্য সম্পর্কিত সমস্যা নয়, স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সমস্যাও, তাই এটিকে গুরুত্ব সহকারে নিন এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। আপনার মুখের গজানো লোম অপসারণের জন্য আপনার কাছে অনেক বিকল্প রয়েছে। মুখের লোম দূর করার অনেক পদ্ধতি আছে, যার মধ্যে রয়েছে এপিলেটর ব্যবহার, টুইজিং, ওয়াক্সিং, শেভিং, ব্লিচিং এবং থ্রেডিং। অন্যান্য বিকল্পের মধ্যে রয়েছে ডিপিলেটরি ক্রিম, লেজার, আইপিএল ডিভাইস, ইলেক্ট্রোলাইসিস বা মেকআপ ব্যবহার। অবাঞ্ছিত মুখের লোম দূর করতে আপনি ঘরে তৈরি ফেসপ্যাকও ব্যবহার করতে পারেন। এর জন্য, এক চা চামচ হলুদের সাথে এক চা চামচ দুধ মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি আপনার মুখে ২০ মিনিটের জন্য লাগান। এই মিশ্রণটি সম্পূর্ণ শুকিয়ে গেলে, ভেজা আঙ্গুল দিয়ে ঘষুন এবং চুলের বৃদ্ধির বিপরীত দিকে মুছে ফেলুন। এই পেস্ট দিয়ে আপনার অবাঞ্ছিত লোমও দূর হবে। একইভাবে, পেঁপের পেস্টে কিছু হলুদ মিশিয়ে মুখে লাগান এবং একটু শুকিয়ে গেলে ঘষে ফেলুন। মাস্ক দিয়ে অবাঞ্ছিত লোমও দূর হবে।
পাঠকদের প্রতি: প্রতিবেদনটি প্রাথমিক ভাবে অন্য ভাষায় প্রকাশিত। স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির মাধ্যমে এটির বাংলা তরজমা করা হয়েছে। HT বাংলার তরফে চেষ্টা করা হয়েছে, বিষয়টির গুরুত্ব অনুযায়ী নির্ভুল ভাবে পরিবেশন করার। এর পরেও ভাষান্তরের ত্রুটি থাকলে, তা ক্ষমার্হ এবং পাঠকের মার্জনা প্রার্থনীয়।