মা দশভূজা। তাঁর ১০ হাতে ১০টি অস্ত্র। কিন্তু কোন অস্ত্র কে দিয়েছেন, কেনই বা দেওয়া হয়েছিল এই অস্ত্র? কী বলছে শাস্ত্র? দুর্গাপুজোর প্রাক্কালে জানুন মা দুর্গার অস্ত্রের নেপথ্যে থাকা কাহিনী।
পুরাণ মতে, দেবতার আশীর্বাদে মহিষাসুরকে বধ করতে অক্ষম ছিলেন যে কোনও পুরুষ দেবতা। তাই বাধ্য হয়ে সকল দেবতার শক্তি দিয়ে সৃষ্টি করা হয় দেবী দুর্গাকে। বলা হয়, দুর্গার বাম চোখ চন্দ্রের প্রতীক, ডান চোখ সূর্যের। কপালের নেত্র অগ্নির প্রতীক। শাস্ত্রে দেবী দুর্গার ১০ হাতে ১০ অস্ত্রের ব্যাখ্যাও দেওয়া রয়েছে।
চক্র: চক্র দৃঢ়তার প্রতীক, যেটি দিয়েছিলেন ভগবান শ্রী বিষ্ণু।
ত্রিশূল: ত্রিশূল দান করেছিলেন দেবাদিদেব মহাদেব। ধর্ম, অহংকার এবং অন্ধকার মানুষের এই তিন গুণের সমন্বয় তৈরি হয়েছিল মা দুর্গার হাতের ত্রিশূল।
(আরও পড়ুন: সপ্তমীর দুপুর জমে যাক চিংড়ি পোস্তর সাথে, রাঁধবেন কীভাবে?)
শঙ্খ: বরুণ দেব মা দুর্গাকে দিয়েছিলেন শঙ্খ, যেটি অহংকারের প্রতীক। শঙ্খ ধ্বনিতে স্বর্গ, মর্ত্য, পাতাল, সর্বত্র অশুভ শক্তির বিনাশ হয়।
বজ্র: দেবতা ইন্দ্র মা দুর্গাকে দান করেছিলেন বজ্র, যেটি মানসিক দৃঢ়তা এবং স্বার্থত্যাগের সংমিশ্রণে তৈরি হয়েছিল।
সাপ: ভালো করে লক্ষ্য করবেন মা দুর্গার এক হাতে থাকে সাপ জড়িয়ে থাকে, যাকে বলা হয় নাগপাশ, যা চেতনার প্রতীক হিসেবে মনে করা হয়।
গদা: দেবীকে গদা দান করেছিলেন মৃত্যুর দেবতা যমরাজ। সকলের প্রতি ভালোবাসা এবং ভক্তির প্রতীক এই গদাকে কালদণ্ডও বলা হয়।
(আরও পড়ুন: তিলোত্তমার ন্যায়বিচারের আশায় এবার দেবীর আরাধনা লণ্ডনের প্রবাসী বাঙালিদের)
তীর-ধনুক: পবন দেব ইতিবাচক শক্তির প্রতীক হিসেবে মা দুর্গাকে দিয়েছিলেন তীর-ধনুক।
তলোয়ার: এই তলোয়ার মা দুর্গাকে দিয়েছিলেন পার্বতী পুত্র গণেশ। এই তলোয়ারের মাধ্যমে সমস্ত অশুভ শক্তির সমাপ্তি করেন মা।
ঘন্টা: ইন্দ্রের বাহন ঐরাবত এই ঘণ্টা দান করেছিলেন মা দুর্গাকে। এই ঘন্টার ধ্বনিতে সমস্ত জগৎ থেকে অশুভ শক্তির বিনাশ হয়, ঠিক যেমন হয় শঙ্খ ধ্বনির দ্বারা।
পদ্ম: মা দুর্গাকে পদ্ম দান করেছিলেন ব্রহ্মা। এই পদ্ম শুধু মায়ের হাতে নয়, পুজোর কাজেও ব্যবহার করা হয়। ১০৮টি পদ্ম ছাড়া দেবীর পুজো অসম্পূর্ণ।