সারা বছরে ওই চারটে দিন যদি ঋতুস্রাবের যন্ত্রণায় ছটফট করতে হয়, তাহলে কার ভালো লাগবে বলুন? সারা বছরের অন্যান্য প্ল্যানিং ঋতুস্রাবের ডেট দেখে ঠিক করা হলেও পুজোয় তো সেটা সম্ভব নয়। তাই অগত্যা ওষুধ খেয়ে তারিখ পিছিয়ে দেওয়ার চিন্তাভাবনা করেন অনেকেই। কিন্তু এটি করা কি ঠিক? কতটা প্রভাব পরে স্বাস্থ্যের ওপর?
ঋতুস্রাব হওয়ার সময় শারীরিক তো বটেই মানসিক দিক থেকেও ভীষণ অস্বস্তিতে থাকেন মেয়েরা। কখনও পেটের যন্ত্রণায় কাতর হয়ে পড়েন, কখনও আবার কান্নাকাটি করেন। দুর্গাপুজোয় যদি এমন অবস্থা হয়, তাহলে কার ভাল লাগে বলুন? পুজোয় এই সমস্ত ঝুঁকি এড়ানোর জন্যই তাই অনেকেই ইচ্ছেমতো ওষুধ খেয়ে ফেলেন।
(আরও পড়ুন: পুজোর বাসনে চমক ফেরাতে চান? খুব সহজে পরিষ্কার করে নিন এভাবে, রইল টিপস)
ঋতুস্রাবে ওষুধ খাওয়া কি ভালো?
ঋতুস্রাব চলাকালীন ওষুধ খাওয়া একেবারেই ভালো নয়। যেহেতু ঋতুস্রাব একটি নিয়মিত প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া, তাই বলপূর্বক এটি যদি আটকানোর চেষ্টা করা হয় তাহলে স্বাভাবিকভাবেই গোটা শরীরের ওপরেই প্রভাব পড়ে যাবে। ঋতুস্রাব শুধুমাত্র রক্তপাত নয়, হরমোনের ওঠা নামাও বটে। তাই ঋতুস্রাব বন্ধ করতে বা পিছিয়ে দেওয়ায় চেষ্টা করা হলে শুরু হবে সমস্যা।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, যে সমস্ত মানুষ ঘন ঘন ঋতুস্রাব পিছিয়ে দেওয়ার ওষুধ খান, তাঁদের অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ, অনিয়মিত রক্তপাত, মাইগ্রেন, হাঁপানির সমস্যা, মস্তিষ্কে এবং ফুসফুসে রক্ত জমাট বাঁধার মতো গুরুতর সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়া ওজন বেড়ে যাওয়া অথবা হজমের গন্ডগোল হওয়ার মতো সমস্যাও দেখা দেয় ক্রমাগত ওষুধ খেলে। তবে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হবে সেটা পুরোপুরি নির্ভর করবে আপনি কেমন ধরনের ওষুধ খাচ্ছেন সেটির ওপর।
(আরও পড়ুন: ১ বা ২ না,১৬টি বনেদি পুজো নিয়ে মুর্শিদাবাদের এই গ্রাম হয়ে উঠেছে ‘দুর্গা গ্রাম’… ঠিকানা পাঁচথুপি)
ঋতুস্রাব ভীষণ স্বাভাবিক একটি ব্যাপার তাই এতে লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই। কুসংস্কারকে দূরে রেখে সঠিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাই উচিত। একান্তই যদি কুসংস্কারকে মেনে চলতে হয় তাহলে মাসের ওই কটা দিন সবকিছু থেকে নিজেকে আলাদা করে রাখবেন কিন্তু তবুও পিরিয়ড বা ঋতুস্রাব পিছিয়ে দেওয়ার ওষুধ কখনওই খাওয়া উচিত নয়।