প্রতিবছর দশেরায় বিভিন্ন রাজ্যে অনুষ্ঠিত হয় রামলীলা, যেখানে বিশাল বড় মেলার আয়োজন করা হয় এবং তৈরি করা হয় রাবণের মূর্তি। মানবরূপী রামের হাতে রাবণের নিধন দেখার জন্য জড়ো হন বহু মানুষ। মূলত নবরাত্রির দশম দিনে এই অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।
ভারতের বিভিন্ন জায়গায় দশেরার দিন রাবণের প্রতিমূর্তি জ্বালানো হয় আগুন দিয়ে। ঠিক তেমনি উত্তরপ্রদেশের রামপুরেও প্রতিবছর দশেরায় রাবণের মূর্তি তৈরি করা হয়। তবে এই মূর্তিটির সব থেকে বড় বিশেষত্ব হলো, এই মূর্তিটি তৈরি করে রামপুরের এক মুসলিম পরিবারের সদস্যরা।
বছরের পর বছর রামপুরে দশেরায় রাবণের মূর্তি তৈরি করে আসছে মুসলিম পরিবারটি। এই পরিবারের অন্যতম সদস্য ইলাহির হাতে তৈরি ৮০ ফুট রাবণের মূর্তি প্রতিস্থাপিত হয়েছে রামপুরে। প্রায় ৬০ থেকে ৭০ বছর ধরে এই পরিবারটি রাবণ বানানোর কাজ করে চলেছে।
(আরও পড়ুন: পুজোয় অতিথিদের চমকে দিন চম্পারণ মটন রেঁধে, জমে উঠুক দুপুরের আহার)
রামপুর ছাড়াও রামসিংহ, মিলাক, রাধাগামোদ এবং জওয়ালানা নগরে দশেরার দিন এই মুসলিম পরিবারের হাতে তৈরি রাবণের মূর্তি স্থাপন করা হয়। তবে কমিটির সদস্যদের থেকে বাড়তি টাকা না পাওয়া সত্ত্বেও এই বছর ৮০ ফুট রাবণের মূর্তি স্থাপন করেছে মমতাজ খানের পরিবার।
৮০ ফুট যে রাবণের মূর্তিটি তৈরি করা হয়েছে সেটি সম্পূর্ণ পরিবেশ দূষণমুক্ত বারুদ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। এই মূর্তিটি সম্পূর্ণ পরীক্ষা করার পরেই নিয়ে যাওয়া হয়েছে নির্দিষ্ট স্থানে। তবে এখন শুধু রামপুরে নয়, উত্তর প্রদেশ থেকে হরিয়ানা এমনকি পাঞ্জাব থেকেও রাবণের কুশপুত্তলিকা তৈরির অর্ডার পাচ্ছে এই পরিবারটি।
(আরও পড়ুন: পুজোয় রসনা তৃপ্ত হোক দক্ষিণী স্টাইলের কাঁকড়া রোস্টে, রেঁধে ফেলুন এভাবে)
প্রসঙ্গত, এই বছর ৮০ ফুট উঁচু এই রাবণটি সবথেকে বড় রাবণের রেকর্ড তৈরি করেছে। শুধু তাই নয়, পরিবেশবান্ধব বারুদ ব্যবহার করার ফলে এই রাবণটির জনপ্রিয়তা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে মানুষের মধ্যে। মনে করা হচ্ছে এই বছর দশেরার দিন শুধু উত্তর প্রদেশ নয়, আশেপাশের রাজ্যের মানুষও এই কুশপুত্তলিকা দেখার জন্য ভিড় করবেন রামপুরে।