আজকের ব্যস্ত জীবনে, কোমর ব্যথা এতটাই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে যে এটি প্রায় সকল বয়সের মানুষকেই প্রভাবিত করছে। আগে এটিকে বার্ধক্যের লক্ষণ হিসেবে বিবেচনা করা হত, কিন্তু এখন তরুণরাও এর শিকার হচ্ছে। এর পিছনে অনেক কারণ থাকতে পারে, তবে একটি বড় কারণ আমাদের দৈনন্দিন জীবনের কিছু ভুল অভ্যাসও হতে পারে।
প্রায়শই আমরা এই অভ্যাসগুলিকে উপেক্ষা করি, কিন্তু ধীরে ধীরে এগুলি আমাদের মেরুদণ্ডের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে, যার কারণে অসহনীয় কোমর ব্যথা শুরু হয়। ভালো কথা হল, যদি এই অভ্যাসগুলি সময়মতো চিহ্নিত করা হয় এবং সংশোধন করা হয়, তাহলে এই সাধারণ কিন্তু বিরক্তিকর সমস্যাটি সহজেই এড়ানো সম্ভব। আসুন জেনে নেওয়া যাক সেই অভ্যাসগুলি কী কী যা কোমর ব্যথাকে উৎসাহিত করে এবং কীভাবে সেগুলি এড়ানো যায়।
ভুল বসার ভঙ্গি
দীর্ঘক্ষণ ভুল ভঙ্গিতে বসে থাকা, যেমন চেয়ারে হেলান দিয়ে কাজ করা বা সোফায় ভুল ভঙ্গিতে বসে থাকা, পিঠের ব্যথার একটি প্রধান কারণ। যারা অফিসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কম্পিউটারের সামনে বসে থাকেন তাদের প্রায়শই মেরুদণ্ডের উপর চাপ পড়ে, যার ফলে পিঠ শক্ত হয়ে যায় এবং ব্যথা হয়। এটি প্রতিরোধ করার জন্য, সোজা হয়ে বসুন, পিঠকে সমর্থন করে এমন চেয়ার ব্যবহার করুন এবং প্রতি ৪০ মিনিট অন্তর অল্প হাঁটাহাঁটি করুন।
শারীরিক ক্রিয়াকলাপের অভাব
বসে কাজ করার অভ্যাস বা ব্যায়াম না করার অভ্যাস পেশীগুলিকে দুর্বল করে তোলে। কোমরের পেশীগুলি দুর্বল হয়ে গেলে, তারা মেরুদণ্ডকে পর্যাপ্ত সমর্থন প্রদান করতে অক্ষম হয়, যা ব্যথা বৃদ্ধি করে। নিয়মিত যোগব্যায়াম, স্ট্রেচিং, অথবা তাদাসন এবং ভুজঙ্গাসনের মতো হালকা ব্যায়াম অনুশীলন কোমরকে শক্তিশালী করে।
ভুলভাবে ওজন তোলা
ভুলভাবে ভারী জিনিস তোলা বা ভাঁজ করে ভারী জিনিস বহন করলে পিঠে ব্যথা হতে পারে। এতে মেরুদণ্ডের উপর চাপ পড়ে এবং পেশীতে টান পড়তে পারে। এমন পরিস্থিতিতে সাবধানে এবং কারও সাহায্যে যেকোনো ভারী জিনিস তোলার চেষ্টা করুন।
খারাপ গদি এবং ঘুমানোর জায়গা
ভুল গদি ব্যবহার করা বা রাতে অস্বস্তিকর অবস্থানে ঘুমানোও পিঠের ব্যথা বাড়ায়। খুব নরম বা খুব শক্ত গদি মেরুদণ্ডকে সমর্থন করতে পারে না, যার ফলে সকালে পিঠ শক্ত হয়ে যায়। তাই একটি ভালো গদি বেছে নিন এবং আপনার পিঠে বা আপনার পাশে ঘুমানোর চেষ্টা করুন।