
Baji
৳7,777 IPL 2025 Sports Bonus
হৃদরোগ বা রক্তচাপ সংক্রান্ত সমস্যা থাকলে অনেকেই পুরোপুরি ঘি বা তেল খাওয়া ছেড়ে দেন। যাঁরা ওজন কমাতে চান, তাঁরাও দ্রুত লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য নিজেদের ডায়েট থেকে পুরোপুরি ঘি বা তেল বাদ দিয়ে থাকেন। তাতে তাঁরা আদতে বিপদ ঢেকে আনছেন বলে জানালেন নয়াদিল্লির ফর্টিস এসকর্টস হার্ট ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান অশোক শেঠ।
‘হিন্দুস্তান টাইমস ডিজিটাল’-এ ফর্টিস এসকর্টস হার্ট ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান সতর্ক করেছেন, ফ্যাট না গ্রহণ করলে আদতে মানুষ ক্লান্ত হয়ে পড়বেন। হয়ে পড়বেন অসুস্থ। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেহে ফ্যাটের প্রয়োজন হয়। আমাদের মস্তিষ্ক, স্নায়ুর কোষ, আমাদের স্নায়ু, (হৃদপিণ্ডের) কনডাকশন সিস্টেম - সবগুলির ফ্যাটের প্রয়োজন হয়। ভারসাম্য বজায় রেখে ডায়েট করতে হবে। রাস্তার ধারে যে খাবার পাওয়া যায়, যা সর্বদা আগুনের উপর থাকে এবং বারবার রান্না করা হয়, শুধুমাত্র সেই ধরনের ট্রান্স ফ্যাট (এক ধরনের ফ্যাট, যাতে কয়েকটি নির্দিষ্ট উপকরণ থাকে। বেকড খাবার, স্ন্যাকের মতো খাবারে সেই ফ্যাট পাওয়া যায়) অবশ্যই এড়িয়ে চলতে হবে।’ সেজন্য কেক, কুকিজের মতো প্যাকেটজাত খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক করেছেন বিখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ। যে খাবারে অধিক পরিমাণে ট্রান্স ফ্যাট থাকে।
তাহলে কি খাওয়া উচিত?
নিয়মিত দু'তিন চা-চামচ ঘি, সরষের তেল বা অলিভ অয়েলের মতো ভালো তেল খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ফর্টিস এসকর্টস হার্ট ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘সরষের তেল দারুণ। যা দেশজুড়ে যে কোনও মানুষ খেতে পারেন। বনপস্থি বা ট্রান্স ফ্যাটযুক্ত তেলের তুলনায় দু'চামচ ঘি খাওয়া ভালো।’
সেইসঙ্গে সঠিক পরিমাণ তেল দিয়ে বাড়ির খাবারের পক্ষে সওয়াল করেছেন বিখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ। তিনি বলেন, ‘সঠিক পরিমাণে তেল দিয়ে রান্না করা ঘরের খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিই আমার কাছে আসা রোগীদের। লুচিও হতে পারে। তবে তা ঘরে তৈরি হতে হবে। আলাদাভাবে তেল ছাড়া কাউকে নিজের খাবার রান্না করতে হবে না। পরিবারের বাকি সদস্যরা যেটা খাচ্ছেন, সেটাই খাওয়া উচিত। আপনি যখন নুন বা তেল ছাড়া খাবার খান, তখন আপনার ওজন কমতে থাকে। অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টিজাত পদার্থ ফ্যাট এড়িয়ে যাওয়ায় দুর্বল হয়ে পড়েন। অসুস্থ বোধ করেন।’ তাঁর বক্তব্য, ওজন কমলেও সেই পন্থা মোটেও কার্যকর হয় না। বরং হিতে বিপরীত হয়।
৳7,777 IPL 2025 Sports Bonus