আমাদের দেশে প্রতি বছর ১৪ এপ্রিল ডঃ ভীমরাও আম্বেদকরের জন্মবার্ষিকী পালিত হয়। এই দিনটি ভীম জয়ন্তী নামেও পরিচিত। এই দিনটি 'ভারতীয় সংবিধানের জনক' ডঃ ভীম রাওয়ের জন্মদিন হিসেবে পালিত হয়। ১৮৯১ সালে জন্মগ্রহণ করেন আম্বেদকর। তিনি কেবল ভারতীয় সংবিধানের প্রধান স্থপতিই ছিলেন না, স্বাধীন ভারতের প্রথম আইনমন্ত্রী, আইনবিদ, অর্থনীতিবিদ এবং সমাজ সংস্কারকও ছিলেন। এমন পরিস্থিতিতে, প্রতি বছর সারা দেশে পূর্ণ ভক্তি ও শ্রদ্ধার সঙ্গে তাঁর জন্মবার্ষিকী পালিত হয়।১৪ এপ্রিল ২০২৫ হল ডঃ আম্বেদকরের ১৩৫তম জন্মবার্ষিকী। এই দিনে সারা ভারতে সরকারি ছুটি থাকবে। আম্বেদকর জয়ন্তীতে বিভিন্ন স্থানে সমাবেশ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। স্কুল, কলেজ এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানে তাঁর ধারণাগুলি নিয়ে আলোচনা করা হয় এবং লোকেরা তাঁর মূর্তিতে মালা পরিয়ে শ্রদ্ধা জানায়। আসুন জেনে নিই আম্বেদকর জয়ন্তীর ইতিহাস এবং গুরুত্ব-আম্বেদকর জয়ন্তীর ইতিহাসআম্বেদকর জয়ন্তী প্রথম পালিত হয়েছিল ১৯২৮ সালের ১৪ এপ্রিল পুনেতে। এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন সমাজকর্মী জনার্দন সদাশিব রণপিসে। সেই থেকে প্রতি বছর এই ঐতিহ্য অব্যাহত রয়েছে এবং আজ এটি কেবল ভারতেই নয়, বিশ্বের অনেক দেশে বসবাসকারী ভারতীয় সম্প্রদায়ের দ্বারাও পালিত হয়।আম্বেদকর জয়ন্তীর গুরুত্বআম্বেদকর জয়ন্তীর মূল লক্ষ্য হল সমাজে সাম্য, ভ্রাতৃত্ব এবং ন্যায়বিচারের ধারণা ছড়িয়ে দেওয়া। সংবিধান প্রণয়নে ডঃ আম্বেদকরের অবদান ভারতকে একটি আধুনিক, গণতান্ত্রিক এবং সমতাবাদী জাতি হিসেবে গড়ে তোলার ভিত্তি তৈরি করেছিল। তিনি নারী, অনগ্রসর শ্রেণী এবং দলিত সম্প্রদায়ের ক্ষমতায়নের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। তিনি বললেন, 'শিক্ষিত হও, সংগঠিত হও এবং সংগ্রাম করো।' এই বার্তা আজও মানুষকে অনুপ্রাণিত করে।ডঃ ভীমরাও আম্বেদকরের মূল্যবান চিন্তাভাবনা'শিক্ষা হলো স্বাধীনতার সোনালী দরজা খোলার চাবিকাঠি।''বুদ্ধিমত্তার মাপকাঠি হল পরিবর্তনের ক্ষমতা।''সামাজিক কুফলের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য শিক্ষা একটি শক্তিশালী অস্ত্র।''একটি জাতি তার শাসকদের দ্বারা নয়, বরং তার নাগরিকদের দ্বারা গঠিত হয়।''জাতিভেদ দূর করার একমাত্র উপায় হল শিক্ষা।''দারিদ্র্য দূরীকরণের একমাত্র সমাধান হল শিক্ষা।''শিক্ষা হল অগ্রগতির মেরুদণ্ড।''একটি জাতির ভবিষ্যৎ তার যুবসমাজের শিক্ষার উপর নির্ভর করে।''শিক্ষা হল সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের চাবিকাঠি।'