ব্যাংকের কাজ কর্ম হোক অথবা পড়াশোনা, সবকিছুই এখন চলে মুঠো ফোনের মাধ্যমে। বাসে, ট্রামে, রাস্তাঘাটে যেখানেই আপনি মানুষকে দেখবেন, দেখতে পাবেন ঘাড় নিচু করে মুঠোফোনে ব্যস্ত রয়েছে সকলে। আর এতেই তৈরি হয় সমস্যা। মুঠোফোন দ্বারা তৈরি এই সমস্যার নাম ‘টেক্সট নেক সিনড্রোম’।
টেক্সট নেক সিনড্রোম কী?
মুঠোফোনে সময় কাটাতে গিয়ে অনেকেই ঘাড় নুইয়ে রাখেন দীর্ঘক্ষণ। এইরকম ভাবে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার ফলে শুরু হয় ঘাড়ে ব্যথা। এছাড়াও চোখে ব্যথা, পিঠে ব্যথা, মাথায় ব্যথার মত সমস্যাও হতে পারে। ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে মেরুদন্ড, চাপ পড়তে পারে স্নায়ুর ওপরেও। এই ঘটনাটিকে বলা হয় 'টেক্সট নেক সিনড্রোম'। এর অর্থ হল, সারাদিনে মুঠোফোনে টেক্সট করার ভঙ্গিতে তৈরি হওয়া সমস্যা।
মুঠো ফোনের ব্যাপারে আর যে যে বিষয়ে সচেতন হতে হবে আপনাকে:
চার্জে দিয়ে কথা বলা: অনেকেই আছেন, যারা ফোন চার্জে দিয়ে কথা বলেন বা গেম খেলেন। এরকম অভ্যাসের কারণে হতে পারে মারাত্মক বিপদ। ফোন চার্জে দিয়ে কথা বলার ফলে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যাওয়ার ঘটনা প্রায়ই শোনা যাচ্ছে।
(আরও পড়ুন: গাড়ির ট্যাঙ্ক থেকে পড়ে নষ্ট হল ডিজেল, রিল বানাতে গিয়ে যুবকের কাণ্ড দেখে বড় পদক্ষেপ পুলিশের)
সংবেদনশীল তথ্য অথবা ছবি রাখা: অনেকেই ব্যক্তিগত মুহূর্তের বিভিন্ন ছবি বা ভিডিয়ো রেখে দেন মোবাইলে। এবার আপনি তো বলবেন, আপনার মোবাইলে পাসওয়ার্ড দেওয়া রয়েছে। কিন্তু এই পাসওয়ার্ড একেবারেই ঠুনকো। যে কোনও মুহূর্তে আপনার মোবাইল থেকে এই সমস্ত ব্যক্তিগত তথ্য চুরি হয়ে যেতে পারে। তাই স্মার্ট ফোনে ব্যক্তিগত তথ্য অথবা ব্যাংকিং সংক্রান্ত কোনও রকম তথ্য না রাখাই ভালো।
একটানা মুঠোফোন দেখা: একটানা মোবাইল স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকলে চোখের বিরাট বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। তাই মাঝে মাঝে মুঠোফোন থেকে বিরতি নিন এবং প্রকৃতির দিকে তাকিয়ে থাকুন। এতে আপনার চোখের সমস্যা হবে না এবং আপনিও কিছুটা সময় প্রকৃতির মধ্যে কাটাতে পারবেন।
(আরও পড়ুন: নেট কালো পোশাকে বোল্ড লুকে তারা, আগুন ছড়ালেন সোশ্যাল মিডিয়ায়)
অন্যকে গুরুত্ব না দেওয়া: অনেকে আছেন যারা অন্য কারোর সঙ্গে কথা বলতে বলতে বারবার মোবাইল দেখেন। এমনকী মোবাইল সাইলেন্ট করতে ভুলে যান। এরকম ঘটনা ঘটলে আপনার উল্টো দিকের মানুষ ভীষণ বিব্রত অথবা অপমানিত বোধ করতে পারেন। তাই আপনি যখন কারোর সঙ্গে কথা বলবেন তখন চেষ্টা করবেন মোবাইল দূরে সরিয়ে রাখতে।