প্রিয়াংশু চট্টোপাধ্যায়ের ছোটবেলায় তাঁর প্রতি কঠোর নাকি সহজ ছিলেন? এপ্রশ্নে অভিনেতার উত্তর ছিল কঠোর। তাঁর কথায়, তিনি পড়াশোনায় ভালোই ছিলেন। তবে তাঁকে ভোর ৫টায় উঠতে হত যোগ ব্যায়াম করতে হত, প্রার্থনা করতে হত। তাঁকে বিদ্যুৎ বা জলের অপচয় না করার কথা শেখানো হয়েছিল। তাঁর কথায় অভিভাবকত্ব বেশ কঠিন বিষয়।
প্রিয়াংশু চট্টোপাধ্যায়
'তুম বিন'-এর শেখর মালহোত্রাকে মনে পড়ে? হ্যাঁ, অভিনেতা প্রিয়াংশু চট্টোপাধ্যায়ের কথাই বলছিলাম। সম্প্রতি ফ্যান্টাসি ড্রামা 'ফায়ারফাইলস: পার্থ অউর জুগনু'-তে পার্থের বাবার ভূমিকায় দেখা যাবে প্রিয়াংশু চট্টোপাধ্যায়কে। যেখানে তাঁর চরিত্রের নামে ডঃ নেগি। যিনি পেশায় একজন ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ, যাঁকে হিমাচল প্রদেশের একটি ক্যান্সার গবেষণা ল্যাবে কাজ করতে দেখা যাবে। এই সিরিজে চিকিৎসক বাবার ছেলে হয়েও পার্থ নবম শ্রেণিতে ফেল করে। যদিও পার্থের বাবা চান, ছেলেও তাঁর মতো ভালো পড়াশোনা করুক।
হিন্দুস্তান টাইমসের তরফে প্রিয়াংশু চট্টোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হয়, বাস্তবেও কি তিনি তেমনই বাবা? উত্তরে প্রিয়াংশু বলেন, ‘আজকের দিনে এই ধরনের প্রশ্ন আসা খুবই স্বাভাবিক। কারণ প্রশ্ন আসে আমরা অভিভাবকরা ঠিক কী চাই, সন্তান অর্থ রোজগারের যন্ত্র হোক, নাকি সে সুখী ও সৎ হোক। আমি যদিও এখনও বাবা নই, তবে এই প্রশ্নগুলো আমায় ভাবায়।’
প্রিয়াংশু চট্টোপাধ্যায়ের ছোটবেলায় তাঁর প্রতি কঠোর নাকি সহজ ছিলেন? এপ্রশ্নে অভিনেতার উত্তর ছিল কঠোর। তাঁর কথায়, তিনি পড়াশোনায় ভালোই ছিলেন। তবে তাঁকে ভোর ৫টায় উঠতে হত যোগ ব্যায়াম করতে হত, প্রার্থনা করতে হত। তাঁকে বিদ্যুৎ বা জলের অপচয় না করার কথা শেখানো হয়েছিল। তাঁর কথায় অভিভাবকত্ব বেশ কঠিন বিষয়। 'তুমি বিন' ছবির নায়ক এখন বাবার ভূমিকায়, চরিত্রটি নিতে কি দ্বিধা ছিল? এমন প্রশ্নে প্রিয়াংশু সাফ জানান, ‘না, একেবারেই তা নয়।’ জানান, তিনি এই ওয়েব সিরিজের কাজটি বেশ উপভোগ-ই করেছেন। জানান, তিনি নিজেকে নায়ক হিসাবে দেখেন না, মানুষ দেখে।