সেই মার্চের মাঝামাঝি সময় থেকে তালাবন্ধ থিয়েটার। সাড়ে ছয় মাস ধরে অতিমারীর জেরে আশঙ্ক্ষার কালো মেঘ গোটা বিনোদন ইন্ডাস্ট্রি জুরে। ওটিটি প্ল্যাটফর্মে হিন্দি ছবি মুক্তি পেয়েছে ঠিকই, তবে ডিজিট্যাল প্ল্যাটফর্মে সরাসরি বাংলা ছবি করোনাকালে মুক্তি পেয়েছে হাতেগোনা। কারণ ছবি বিশেষজ্ঞদের মতে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে বাংলা ছবির চাহিদা অপেক্ষাকৃত কম। বাংলা ছবির ব্যবসা অনেকাংশেই বক্স অফিস নির্ভরশীল। এইরকম পরিস্থিতিতে দুর্গাপুজোর আগে টলিউডের জন্য বড়সড় খুশির খবর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার টুইটারে তিনি ঘোষণা করলেন- সব কিছুই যখন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসছে, তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে এবার যাত্রা, নাটক, খোলা মঞ্চে থিয়েটার, সিনেমা, সঙ্গীত অনুষ্ঠান, নৃত্যানুষ্ঠান, আবৃত্তি বা ম্যাজিক শো— সব কিছুই এবার চালু হতে পারে। আগামী ১ অক্টোবর থেকে শারীরিক দূরত্ববিধি–সহ অন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে এগুলি চালু করা যেতে পারে। দর্শক, অংশগ্রহণকারী মিলিয়ে সর্বাধিক ৫০ জন থাকতে পারবে বলে জানানো হয়েছে। মাস্ক পরা এবং স্যানিটাইজার ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক থাকবে।মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তকে দু-হাত খুলে স্বাগত জানাল টলিউড। জিত,নুসরত,দেব-সকলেই টুইট বার্তায় ধন্যবাদ জানিয়েছেন দিদিকে। পিছিয়ে থাকেননি টলিপাড়ার পর্দার পিছনের হিরোরাও। পরিচালক রাজ চক্রবর্তীও ধন্যবাদ জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। টোটা রায়চৌধুরী লেখেন- আবারও বিনোদন জগতকে বাঁচাতে এগিয়ে এলেন উনি। ধন্যবাদ দিদি। স্বারাষ্ট্রমন্ত্রকের আনলক-৪ এর গাইডলাইনে সিনেমাহল বন্ধেরই নির্দেশ রয়েছে, সেই সময়সীমা শেষ হচ্ছে ৩০ সেপ্টেম্বর। নতুন গাইডলাইন ঘোষণার আগেই ভারতের প্রথম রাজ্য হিসাবে সিনেমাহল খোলবার কথা ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিদির এই সিদ্ধান্তকে শুধু বাংলার বিনোদন জগতই নয় স্বাগত জানাচ্ছেন গোটা দেশের সিনেমা এক্সিবিটর, মাল্টিপ্লেক্স চেনের মালিক থেকে বক্স অফিস বিশেষজ্ঞরা। এই মর্মে এক্সিবিটর অক্ষয় রাঠি টুইট করেন- আমার খুশিতে কাঁদতে ইচ্ছে করছে, সত্যি বলছি। মুক্তা আর্টসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাহুল পুরী জানান- ‘অন্য রাজ্যগুলোরও উচিত এই সিদ্ধান্তকে অনুসরণ করা’।