সিবিএফএসি-র কাঁচি থেকে রেহাই মেলা মুশকিল। বিশেষত ‘আদিপুরুষ’ বিতর্কের পর আরও কড়া হয়েছে সেন্সর বোর্ড। হৃতিক-দীপিকার ‘ফাইটার’-এর যৌনতামাখা দৃশ্যে পড়েছিল সেন্সরের কোপ, এবার সিবিএফসির নিয়মের বেড়াজালে আটকে গেল শাহিদ কাপুর ও কৃতি শ্যাননের ‘অসম্ভব প্রেমের গল্প’ তেরি বাতো মে অ্যায়সা উলঝা জিয়ার যৌনদৃশ্য। এই রোম্যান্টিক ছবি জুড়ে রয়েছে একাধিক অন্তরঙ্গ দৃশ্য। রোবট প্রেমিকার সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত হতেও দেখা যাবে শাহিদ কাপুরকে। বলিউড হাঙ্গামার রিপোর্ট বলছে, শাহিদ-কৃতির বেড সিনে চলেছে কাঁচি। সিবিএফসি সেক্সের ওই দৃশ্যের দৈর্ঘ্য ২৫% কমানোর নির্দেশ দিয়েছ। আগে ওই দৃশ্যটি ছিল ৩৬ সেকেন্ডের, যা কমে বর্তমানে ২৭-তে নামিয়ে আনা হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, পরিচালক অমিত যোশী এবং আরাধনা শাহ পরিচালিত ছবির ‘দারু’ শব্দে আপত্তি তুলে দ্বিতীয়ার্ধের একটি দৃশ্যে বদল আনা হয়েছে। দারুর (মদ)-র জায়গায় ড্রিঙ্ক শব্দ ব্যবহার করতে বলা হয়েছে'। আর কী কী বদল আনার শর্ত রেখেছে সেন্সর বোর্ড? নির্মাতাদের বড় হরফে হিন্দিতে ধূমপান বিরোধী বার্তা দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। এই সব শর্ত মেনে নিয়েছে শাহিদ-কৃতির ছবির নির্মাতারা। এর ফলেই গত ২রা ফেব্রুয়ারি সিবিএফসি-র তরফে U/A সার্টিফিকেট দেওয়া হয় ‘তেরি বাতো মে অ্যায়সা উলঝা জিয়া’য়। সেন্সর সার্টিফিকেট অনুসারে এই ছবির রানটাইম ২ ঘন্টা ২৩ মিনিট ১৫ সেকেন্ডের। গত মাসেই প্রকাশ্যে এসেছে ভালোবাসায় বুঁদ এই ছবির ট্রেলার। তবে কাহিনির আসল টুইস্ট হল, সিফ্রা (SIFRA) অর্থাৎ কৃতি আদপে একজন রোবট। কৃতিকে দেখেই তাঁর কাজে মুগ্ধ শাহিদ। ধীরে ধীরে এই রোবটের জন্য শাহিদের মনের কোণায় জেগে ওঠে প্রেম। কিন্তু রোবটের সঙ্গে প্রেম, যৌনতা আর বিয়ে? কীভাবে সম্ভব! শাহিদ-কৃতির সম্পর্কের সত্যতা একমাত্র জানেন শাহিদের মাসি, যে ভূমিকায় রয়েছেন ডিম্পল কপাডিয়া। শাহিদকে তিনি বোঝানোর চেষ্টা করেন এই বিয়ে অসম্ভব। কিন্তু ততদিনে বোধহয় বড্ড দেরি হয়ে গিয়েছে! বিয়ের আগেই কী সিফ্রা-র সত্যিটা জেনে যাবে সকলে, নাকি রোবটকেই বিয়ে করবেন শাহিদ, সেই প্রশ্নের জবাব মিলবে ৯ই ফেব্রুয়ারি সিনেমা হলে। তবে এই ছবির ট্রেলার দেখে অনেকেরই মনে পড়েছে জনপ্রিয় হিন্দি মেগা ‘বহু হামারি রজনীকান্ত’-এর কথা। বাংলা সিরিয়ালেও তৃণা সাহাকে দর্শক দেখেছে ‘কলের বউ’ হিসাবে। এই ছবিটি আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পেতে চলেছে ভ্যালেন্টাইন্স উইকে মুক্তি পাচ্ছে এই ছবি। শাহিদ কাপুর, কৃতি শ্যানন,ডিম্পল কাপাডিয়া ছাড়াও এই ছবিতে বিশেষ ভূমিকায় থাকছেন ধর্মেন্দ্র। ছবিটির পরিচালনা করেছেন অমিত যোশী এবং আরাধনা শাহ। ছবিটির প্রযোজনা করেছেন লক্ষ্মণ উটেকর, জ্যোতি দেশপাণ্ডে, দীনেশ বিজন।