শরীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক তরুণ মজুমদারের। শনিবার ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে ‘দাদার কীর্তি’র স্রষ্টাকে। দিনকয়েক ধরেই এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, স্থিতিশীল হলেও তরুণবাবুর অবস্থা সঙ্কটজনক। শুক্রবার রাত থেকে মস্তিষ্কের সাড়া দেওয়ার ক্ষমতা আরও কমে গিয়েছে। শুক্রবার অবধি ভেন্টিলেশনে ঢোকানো আটকে রাখা হয়েছিল, তবে শনিবার দিতেই হয়েছে ভেন্টিলেশন সাপোর্টে। বৃহস্পতিবার তাঁর হিমোডায়ালিসিস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিৎসকেরা। তবে মাত্র ২ ঘণ্টা ডায়ালিসিস করা সম্ভব হয়েছিল। তবে শুক্রবার চার ঘণ্টা পূর্ণমাত্রায় ডায়ালিসিস হয়। ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা কমলেও, তা স্বভাবিকের থেকে অনেকটাই বেশি। সেপটিসেমিয়াতেও আক্রান্ত তরুণ মজুমদার। সেটারও চিকিৎসা চলছে। তবে আপাতত বাইরে থেকে রক্ত দেওয়ার প্রয়োজন হচ্ছে না বলেই জানা গিয়েছে। তরুণ মজুমদারকে সুস্থ করে তুলতে বিশেষ মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। যাতে রয়েছেন নেফ্রোলজিস্ট অর্পিতা রায়চৌধুরী, মেডিসিনের চিকিৎসক সৌমিত্র ঘোষ, কার্ডিওলজিস্ট সরোজ মণ্ডল এবং ইএনটির সুদীপ দাস। গলায় সমস্যা থাকায় মেডিক্যাল বোর্ডে রয়েছেন ইএনটি-র চিকিৎসক। এদিন তাঁর শরীরের খোঁজ নিতে হাসপাতালে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বর্ষীয়ান পরিচালকের সুস্থতার কামনা করছে বাংলা-সহ গোটা দেশের মানুষ।