হইচই-য়ে সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ওয়েব সিরিজ বিজয়া ঝড় তুলেছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। ছাত্র মৃত্যুর ঘটনা, র্যাগিং এবং এক মায়ের লড়াইয়ের গল্প উঠে এসেছে এখানে। ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা মায়েরা তাঁদের সন্তানকে দূরে পাঠানোর ভয়, কার্ম বা পড়াশোনার সূত্রে দূরে থাকা সন্তানকে নিয়ে মন খোলা পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর এবার তাতে সামিল হলেন অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়।
বিজয়া-অভিনেত্রী স্বস্তিকা তাঁর মেয়ের সঙ্গে একগুচ্ছ ছবি শেয়ার করলেন ইনস্টাগ্রামে। সেখানে দেখা মিলল নানা বয়সের অন্বেষাকে। আসলে অভিনেত্রী নিজেও দীর্ঘ সময় দূরে রয়েছেন মেয়ের থেকে। পড়াশোনার জন্য বিদেশে থাকেন স্বস্তিকার এক মাত্র মেয়ে, যে কিনা তাঁর নয়নের মণি।
আরও পড়ুন: ১১ লাফে ৫০০ পার! ভারতে দুর্দান্ত ফল প্রভাস-দীপিকার কল্কি-র, রবিবারের আয় কত?
স্বস্তিকা ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, ‘সবাই বিজয়া নিয়ে এত কিছু বলছে, সবাই নিজেদের সন্তানদের কথা বলছে, সে তারা দূরে থাক বা কাছে, আমারটাও কত দূরে থাকে, সবার কথা শুনে আমারও মন কেমন করছে… কতদিন দেখতে পাই না, ওই ভিডিয়ো কলটাই জীবন এর ধন।’
‘মাম্মাই- সোনা মেয়ে আমার @anwesha24 ❤️। পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো মেয়ে। মায়েরা একইরকম, কোথাও গিয়ে আমরা সবাই একে অপরের সঙ্গে জড়িয়ে আছি।’, আরও লেখেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: 'ভুল ভুলাইয়া ৩'-এর শ্যুটিংয়ের ফাঁকে যা করলেন কার্তিক! ভাইরাল ছবি
এক অনুরাগী স্বস্তিকার পোস্টে মন্তব্য করেন, ‘এই পোস্টটা পড়ে আমি আমার মাকে মিস করছি। কী সুন্দর।’ দ্বিতীয়জন লেখেন, ‘সত্যি মায়েরা সব পারে। বিজয়াও পেরেছে।’ তৃতীয়জন লেখেন, ‘সেরা কথা বলেছো। কেও নিজের সন্তানের কথা বললেই আমাদের নিজেদের সন্তানের কথা মনে পরে।’
আরও পড়ুন: ‘ব্যথা গিলতে গিলতে যাদের গোটা শরীরটা অবশ হয়ে এসেছে..’, জীবন কী শেখালো অপরাজিতাকে
খুব অল্প বয়সে প্রমিত সেনের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। তবে সন্তান গর্ভে থাকতেই আলাদা হন তাঁরা। এরপর একাই মানুষ করেছেন তিনি অন্বেষাকে। অভিনয়ের পাশাপাশি, তিনি মা হিসেবেও পয়লা নম্বরে।
হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে বিজয়া নিয়ে স্বস্তিকা জানান, ‘এই গল্পে দেখানো হয়েছে নৈহাটি থেকে কলকাতা। কিন্তু আমার জীবনেও তো একটা কলকাতা থেকে লন্ডন আছে। তাই এই চরিত্রটা করতে গিয়ে আরও বেশি করে সন্তান এবং মায়ের মধ্যে যে নারীর টান তা অনুভব করেছি। সেই জন্য আমি কাজটা করতে গিয়েও ইমোশনালি খুব বেশি করে জড়িয়ে গিয়েছিলাম। শুধু অভিনেত্রী বলে নয়, আমার মাতৃ সত্ত্বাটাও এখানে অনেকটা কাজ করেছিল। আমার ক্যারিয়ারে এই চরিত্রটা একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ হিসেবে থেকে যাবে।’