করোনা ফের কেড়ে নিল বিনোদন জগতের এক উজ্জ্বল তারকাকে। চলে গেলে বিশ্ববন্দিত চলচ্চিত্র পরিচালক কিম কি-দুক। শুক্রবার মাত্র ৫৯ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন দক্ষিণ কোরিয়ার এই প্রবাদ প্রতিম পরিচালক। সমসাময়িক এশিয়ান চলচ্চিত্র পরিচালদের মধ্যে একদম উপরের দিতে রয়েছে কিম কি-দুকের নাম। লাটভিয়ান মিডিয়ার রিপোর্ট অনুসারে, গত ২০ নভেম্বর পরিচালক লাটভিয়াতে পৌঁছেছিলেন। জুরমালাতে একটি বাড়ি কেনার উদ্দেশ্য নিয়ে সেখানে যান কিম। তবে নির্ধারিত সময়ে মিটিংয়ে হাজির হয়নি। এরপর তাঁর অসুস্থতার খবর সামনে আসে। শুক্রবার মধ্যরাতে করোনা সংক্রান্ত সমস্যার জেরেই মৃত্যু হয় তাঁর। ১৯৯৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত 'ক্রোকোডেল' কিমের ডেব্যিউ ছবি। এরপর প্রায় আডাই দশক ধরে, ‘রিয়েল ফিকশন’, ‘কোস্ট গার্ড’, ‘স্প্রিং-সামার-উইন্টার অ্যান্ড স্প্রিং’,সামারিয়া','সেমু','আরিং'-এর মতো কালজয়ী ছবি উপহার দিয়েছেন।আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উত্সবগুলিতে বহুল প্রশংসিত হয়েছে তাঁর প্রতিটি ছবি। ৬৯তম ভেনিস আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উত্সবে ‘পিয়েটা’র জন্য গোল্ডেন লিয়ন, ৩-আয়রন ছবির জন্য ৬১তম ভেনিস চলচ্চিত্র উত্সবে সেরা পরিচালক হিসাবে সিলভার লিয়ন পুরস্কার পান কিম কি-দুক। এছাড়াও সামারিয়া ছবির জন্য ৫৪তম বার্লিন চলচ্চিত্র উত্সবের আসরে সম্মানিত হন এই দক্ষিণ কোরিয় পরিচালক। আরিরাং ছবির জন্য ২০১১ সালে কান চলচ্চিত্র উত্সবে ইউএন সার্টিয়েন রিগার্ড পুরস্কার পান কিম। কিমের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন টলিগঞ্জের দুই বিখ্যাত পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় ও অতুন ঘোষ। পছন্দের পরিচালককে করোনা কেড়ে নেওয়া শোকবিহ্বল কিমের অনুরাগীরা। কিম কি-দংয়ের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন তাঁর দো-ভাষী দারিয়া ক্রুটোভা। তবে লাটভিয়াতে অবস্থিত দক্ষিণ কোরিয়ার দূতাবাস এখনও এই বিষয়ে কোনও বিবৃতি দেয়নি।