১০ ফেব্রুয়ারি, রবিবার সোনুর সুরে ডুব দিয়েছিল কল্লোলিনী তিলোত্তমা। কলকাতায় লম্বা সময়ের ব্যবধানে কনসার্ট করলেন সোনু নিগম। বাংলার জামাইয়ের গান শুনতে অ্যাকোয়াটিকায় উপচে পড়েছিল ভিড়। কলকাতার দর্শকদের সুরের মূর্ছনায় মুগ্ধ করলেন গায়ক সোনু নিগম। তবে পারফরম্যান্সের চলাকালীন দর্শকদের কেউ কেউ উঠে দাঁড়ালে গায়ক চটে যান এবং ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য নিজেই দায়িত্ব নিয়ে নেন। মাইক হাতে রীতিমতো দর্শকদের ক্লাস নিলেন সোনু।
কী বললেন সোনু
কলকাতায় কনসার্টের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল। সেখানে, সোনুকে মঞ্চে দাঁড়িয়ে দর্শকদের দিকে ইঙ্গিত করে বলতে দেখা গেছে ‘আপনি যদি সত্যিই দাঁড়াতে চান তবে নির্বাচনে দাঁড়ান! দয়া করে বসুন। আমার সময় নষ্ট হচ্ছে.. কাট অফ টাইম চলে আসবে’। এরপরও কেউ কথা না শুনলে চিৎকার করে গায়ক বলেন, ‘জলদি বসো, বেরিয়ে যাও….জায়গা খালি করো। এই জায়গাটা সম্পূর্ণ খালি করে দাও’।
ভক্তদের প্রতিক্রিয়া
কয়েকজন ভক্ত সোনুর পক্ষে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন, যাঁদের অনেকেই গতরাতের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন। কনসার্টে দুর্বল ব্যবস্থাপনার সমালোচনা করে একজন মন্তব্য করেছেন, ‘এটা এতটাই ন্যক্কারজনক ছিল যে আয়োজকদের দুর্বল ব্যবস্থাপনার কারণে সোনু স্যারকে নিজেই হস্তক্ষেপ করতে হয়েছিল। খুবই লজ্জাজনক।’ আরেকজন মন্তব্য করেন, ‘আসলে তাকে নিজেই ভিড় ও নিরাপত্তার দায়িত্ব সামলাতে হয়েছে। কারণ ব্যবস্থাপনা ছিল খুবই দুর্বল।’
আরেকজন লিখেছেন, ‘সোনু বাধ্য হয়ে এটা করেছেন কারণ তিনি জানেন এই ধরনের ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তার কারণে কেকে-র সঙ্গে কী ঘটেছিল... আত্মনিরাপত্তার জন্য অনুষ্ঠান চালানোর সময় সবাইকে এটাই করতে হবে’। ২০২২ সালের জুন মাসে, নজরুল মঞ্চে পারফর্ম করার সময় কেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং তাকে সিএমআরআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে পৌঁছানোর সাথে সাথে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। যদিও সোনুর ক্ষেত্রে এটি ছিল ওপেন এয়ার কনসার্ট। তাই নজরুল মঞ্চে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তার চেয়ে অনেকটাই আলাদা ছিল রবিবার রাতের চিত্রটা।
প্রসঙ্গত, বাংলার জামাই সোনু। ২০০২ সালে কলকাতার মেয়ে মধুরিমা মিশ্রকে বিয়ে করেন গায়ক। কিছুদিন আগে লাইভ পারফর্ম করতে গিয়ে পিঠে প্রচণ্ড ব্যথা পান সোনু। কিন্তু পেশাদার হিসাবে অসহ্য যন্ত্রণা সত্ত্বেও নিজের কমিটমেন্ট থেকে পিছু হটেননি। তিনি বলেছিলেন, ‘আমার মনে হচ্ছিল যেন একটা সূঁচ আমার মেরুদণ্ডে বিঁধছে। আমি একটু নড়াচড়া করতাম এবং সূঁচটি আমার মেরুদণ্ডে প্রবেশ করত’।