করোনা আবহেই আরও এক সদস্যকে হারাল বলিউড। শনিবার মৃত্যু হয়েছে বর্ষীয়ান সংগীত পরিচালক বিজয় পাতিলের, যিনি ইন্ডাস্ট্রি ও ভক্তদের কাছে ‘রামলক্ষণ’ নামেই পরিচিত। এই সংগীত পরিচালক আশি ও নব্বইয়ের দশকে একাধিট হিট ছবির মিউজিকের দায়িত্বভার সামলেছেন, তবে সলমন খানের কেরিয়ারের সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে জড়িত রামলক্ষণের নাম। বিবি হো-তো এয়সি দিয়ে কেরিয়ার শুরু করলেও লিড হিরো হিসাবে প্রথমবার সলমনের দেখা মিলেছিল ‘মেয়নে প্যায়ার কিয়া’ ছবিতে। আর ‘দিল দিওয়ানা’সহ এই ছবির প্রত্যেকটি গান আরও ফেরে দর্শকদের মুখে মুখে। এই ছবির মিউজিক কম্পোজার ছিলেন ‘রামলক্ষণ’। সেই শুরু এই জুটির পথচলা, এরপর হাম আপকে হ্যায় কৌন, পত্থরকে ফুল, হাম সাথ সাথ হ্যায়-এর মতো সলমন খানের একাধিক ছবিতে অব্যাহত থেকেছে রামলক্ষণের সুরের ঝংকার। স্বাভাবিকভাবেই এই সংগীত শিল্পীর মৃত্যুতে মন ভার সলমনের। এদিন টুইটারে রামলক্ষণের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে ভাইজান লেখেন- ‘সংগীত পরিচালক রাম লক্ষণ চলে গেলেন, আমার একাধিক হিট ছবি, যেমন- মেয়নে প্যায়ার কিয়া, পত্থর কে ফুল, হাম সাথ সাথ হ্যায়, হাম আপকে হ্যায় কৌনের সংগীত পরিচালনা করেছেন উনি। ওঁনার আত্মার শান্তি কামনা করি। পরিবারের প্রতি রইল আমার সমবেদনা’। হিন্দি, মারাঠি, ভোজপুরি মিলিয়ে প্রায় ৭৫টি ছবির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এই সংগীত পরিচালক। প্রসঙ্গত, ‘রাম-লক্ষ্মণ’ জুটির লক্ষ্মণ ছিলেন বিজয় পাতিল। তাঁর সঙ্গী রাম অর্থাৎ সুরেন্দ্র-র মৃত্যু হয় ১৯৭৬ সলেই। তারপর থেকে নিজের নামের সঙ্গে ‘রাম’কে জুড়ে নিয়েছিলেন এই সুরকার। ১৯৪২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর নাগপুরে জন্ম হয় বিজয় পাতিলের। সংগীতের প্রথম পাঠ শিখেছিলেন বাবা ও কাকার থেকেই। ছোট থেকে সংগীতের পরিবেশেই মানুষ হন তিনি। কিছুদিন আগে মহারাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে তাঁকে ‘Lata Mangeshkar Award for Lifetime Achievement’ সম্মান তুলে দেওয়া হয় তাঁর হাতে। তাঁর মৃত্যুতে হিন্দি মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে একটা যুগের অবসান হল। সংগীত পরিচালকের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন লতা মঙ্গেশকরসহ বলিউডের একাধিক ব্যক্তিত্ব।