বাঙালি তাঁদের শ্রেষ্ঠ উৎসবে মেতে উঠেছে। পুজো পুজো গন্ধ এখন চারিদিকে। বনেদি বাড়ি, পাড়ার প্যান্ডেল থেকে ভেসে আসছে মন্ত্রপাঠ, ঢাকের শব্দ। এবার পুজোয় কী পরিকল্পনা করলেন জানালেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। জানালেন এই উৎসব প্রতিটি বাঙালির কাছে জীবনের মতো।
আরও পড়ুন: আরজি কর বিতর্ক অতীত, পুজোর মুখে ২০০ জন শিশুর 'আপনজন' সৌরভ, নিলেন পড়াশোনার দায়িত্ব
দুর্গাপুজো নিয়ে কী বললেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত?
দুর্গাপুজো নিয়ে কথা বলতে গিয়েই হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ঋতুপর্ণা সবার আগে বলেন, 'দেবী দুর্গা হলেন ন্যায় বিচার এবং সর্বোচ্চ শক্তির প্রতীক হিসেবে ধরা হয়। সঠিক পথে চলা এবং নারী শক্তির প্রতিমূর্তি হলেন তিনি। এই উৎসব যেমন আনন্দ বয়ে আনে, তেমনই ক্ষমতা, দায়বদ্ধতা, সৌন্দর্য, সম্পর্ক সবটাই বয়ে আনে। দুর্গাপুজো আমাদের জীবনের সার, এটা আমাদের শক্তি, আমাদের ছেলেবেলার কথা মনে করায়। আমাদের মধ্যে যে অদম্য শক্তি আছে সেটার কথা স্মরণ করায়।'
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত এদিন আরও জানান তিনি প্যান্ডেল হপিং করতে দারুণ ভালোবাসেন। পুজোয় কোনও ডায়েট নেই। বরং ফুচকা থেকে শুরু করে অষ্টমীতে অঞ্জলি দিয়ে খিচুড়ি বেগুন ভাজা খেতে পছন্দ করেন। আর এদিন নতুন শাড়ি পরে অঞ্জলি দেওয়া মাস্ট! অভিনেত্রী এদিন নস্টালজিক হয়ে আরও জানান, 'আমরা ছোটবেলায় গুনতাম যে কার কটা জামা হল। সকালে বিকেলে মিলিয়ে কখন কোন জামা পরব।'
কলকাতার দুর্গাপুজো তাঁর কাছে আবেগ হলেও মুম্বইয়ের দুর্গাপুজোও তিনি দারুণ ভাবে উপভোগ করেন বলে জানাতে ভোলেন না। ঋতুপর্ণার কথায়, 'মুম্বইয়ের নিজের একটা চার্ম আছে। দারুণ একটা ভাইব পাওয়া যায়। এখানে পুজোয় যোগ দেওয়ার মানে নিজের ভাষা, সংস্কৃতির প্রতিনিধিত্ব করা। দেবীর আরাধনা করা ভীষণ পবিত্র এবং সুন্দর একটা জিনিস।'
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে শেষবার অযোগ্য ছবিতে দেখা গিয়েছিল প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে। সেটা তাঁদের দুজনের জুটির ৫০ তম ছবি ছিল। পরিচালনা করেছিলেন কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়।