মজা করে উত্তরে ঋতাভরী জানান, ‘সেদিন রাতে বৃষ্টি পরেছিল মনে আছে! ওটা বৃষ্টি ছিল না বাঙালি যুবকদের কান্না ছিল।’ ঋতাভরী বলেন, ‘এই যে আমি যখন পোস্ট করেছিলাম আমি আর তথাগত প্রেম করছি, এরপর আমি শুধুই পুরুষ অনুরাগীদের কমেন্ট পড়েছি। আর তাতে আমি বুঝতে পারি যে, বহু পুরুষ মনে মনে ভাবেন আমি তাঁদের বান্ধবী।’
ঋতাভরী চক্রবর্তী
‘আমি আর আমার স্বামী প্রেগন্যান্ট’। বেশকিছুদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনই পোস্ট করেছিলেন ঋতাভরী চক্রবর্তী। এরপরই তাঁর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর ঘিরে শোরগোল পড়ে যায়। নেটপাড়ার সকলেই মুখ চাওয়া-চাওয়ি করতে থাকেন। সকলের একটাই প্রশ্ন ছিল, তবে কি তথাগতর সন্তানের মা হতে চলেছেন ঋতাভরী? তবে নাহ ভুল ভাঙল যখন ঋতাভরী তাঁর বেবি বাম্পের ছবি পোস্ট করলেন। জানা গেল ঋতাভরী নয়, আসলে অন্তঃসত্ত্বা হলেন 'নন্দিনী'। তারপরই বিষয়টা খোলসা হয় যে আসল কথা হল অভিনেত্রীর প্রথম ওয়েব সিরিজ আসছে।
এবার টলি টাইমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর নিয়েই মুখ খুলেছেন ঋতাভরী চক্রবর্তী। প্রশ্ন করা হয়, মা হতে চলার খবরে পুরুষ অনুরাগীরা তাঁকে কী বলেছেন? মজা করে উত্তরে ঋতাভরী জানান, ‘সেদিন রাতে বৃষ্টি পরেছিল মনে আছে! ওটা বৃষ্টি ছিল না বাঙালি যুবকদের কান্না ছিল।’ ঋতাভরী বলেন, ‘এই যে আমি যখন পোস্ট করেছিলাম আমি আর তথাগত প্রেম করছি, আবার যখন লিখলাম আমি মা হতে চলেছি, এরপর আমি শুধুই পুরুষ অনুরাগীদের কমেন্ট পড়েছি। আর তাতে আমি বুঝতে পারি যে, বহু পুরুষ মনে মনে ভাবেন আমি তাঁদের বান্ধবী, আমিই বং ক্রাশ।’ এরপর মজা করে ঋতাভরী বলেন, ‘কৃষ্ণের পরে বোধহয় আমিই মহিলা কৃষ্ণ, যে যুবকদের মধ্যে রাসলীলা শুরু করেছি। যদিও এই রাসলীলাই কতজন পুরুষ আছেন, তা আমার ধারণারও বাইরে…।’
ঋতাভরীর কথায়, ‘যখন আমায় কেউ ভালোবাসে, আমার মন্দ লাগে না। এই যে প্রেম, হৃদয় ভাঙা বিষয়গুলো মন্দ লাগে না। আমি উপভোগ করছি। মানুষকে বিনোদন দেওয়া, এত মানুষের ভালোবাসা পাওয়া এটা তো সৌভাগ্যের।’
সাক্ষাৎকারে তথাগত চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রেমের খবর নিয়েও মুখ খোলেন ঋতাভরী। তাঁর কথায়, ‘আমি ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে কিছু বলতে চাই না। কারণ যখন আমি তথাগতর সঙ্গে প্রেম করছি বলে জানিয়েছিলাম, তখন সব সাক্ষাৎকারে ওই একই প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হত, আমার বিরক্ত লাগত। তখন মনে হত, যে আমার ১৬ বছরের কেরিয়ারের তবে কী কোনও মূল্য নেই! তখনই ঠিক করেছিলাম, আমার ভালো থাকা, খারাপ থাকা, প্রেম করা, প্রেম ভাঙা, এসব মানুষের চোখ থেকে দূরেই রাখব। তা নাহলে আমি যে কষ্ট করে এত কাজ করছি, কাজের মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছি, সেগুলির কোনও মূল্যই থাকে না। শুধু ব্যক্তিগত জীবন নিয়েই আলোচনা হতে থাকে।’