একসময় শোনা যেত, পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ-এর একসময় অন্যতম প্রিয় অভিনেত্রীর তালিকায় একেবারে উঁচুতে নাম থাকত রবিনা ট্যান্ডনের। এই ব্যাপারটিকে মাথায় রেখে কার্গিল যুদ্ধের সময় ভারতীয় সেনাবাহিনীর কয়েকজন দুর্ধর্ষ জওয়ান তেনাদের চূড়ান্ত রসবোধের পরিচয় দিয়েছিলেন। বেশ কিছু বিরাটাকারের বোমা পাকিস্তানের উপর বর্ষণ করার আগে তার উপরে গোটা গোটা অক্ষরে লিখে দিয়েছিলেন,'রবিনা ট্যান্ডনের তরফ থেকে নওয়াজ শরিফের জন্য'। শুধু তাই নয়, লেখার উপরে একটি হৃদয়ও এঁকে দিয়েছিলেন তাঁরা। কয়েক বছর অন্তর সেই বোমার ছবিগুলি ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই ঘটনার বহু বছর পর এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছিলেন স্বয়ং রবিনা ট্যান্ডন।কোনওরকম ঝাঁঝালো মন্তব্য কিংবা গা গরম করা বক্তব্য রাখার বদলে শান্তির বার্তা উঠেছিল রবিনার গলায়। হিন্দুস্তান টাইমসকে রবিনা জানিয়েছিলেন তিনি এই ঘটনাটি জেনেছিলেন অনেক পরে। তাঁর কথায়, 'যাই হোক, আমি গোটা বিশ্বকেই এই বার্তা ই দিতে চাই যদি ভালোবাসা এবং কথাবার্তা আদানপ্রদানের মাধ্যমে যুদ্ধ থামানো সম্ভব হয়, সবার সেটাই করা উচিত। কারণ দু'পক্ষের রক্তের রং লাল। তাছাড়া কেউই খুশি হয় না কোনও মা তাঁর সন্তান হারাচ্ছেন সেই খবরে।' এরপরেই সামান্য থেমে রবিনা ফের বলে ওঠেন, 'তেমন হলে যদি কোনওদিন সুযোগ আসে, আমার হাতে বন্দুক দিয়ে দেওয়া হোক। আমিও উঠে দাঁড়াবো দেশকে বাঁচাতে।' প্রসঙ্গত, বলি-সুন্দরীদের প্রসঙ্গ ভারত-পাকিস্তানের চিত্রপটে আরও রয়েছে। স্রেফ নিজের শৌর্য, যুদ্ধক্ষেত্রে নিজের বীরত্বের জন্যেই নয়, দুর্ধর্ষ রসবোধের জন্যেও খ্যাতি ছিল পরমবীর চক্রধারী বিক্রম বাত্রার। একবার তাঁর সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখার বিশেষ রেডিও যন্ত্র 'হ্যাক' করে নিয়েছিল পাকিস্তানি সেনা। সেই সময়ে অনতিদূরে একটি পাহাড়ে পাকিস্তানি বাঙ্কার দখল করার পরিকল্পনা আঁটছিলেন বিক্রম। সেই পরিকল্পনা জানতে পেরে যায় শত্রু সেনা। এরপর যন্ত্রের ওপর থেকে হুমকি ভেসে এসেছিল যদি কোনও বাড়াবাড়ি করেন বিক্রম তাহলে তার উপযুক্ত জবাব পাবেন তিনি। পাশাপাশি পাকিস্তানি সেনার তরফে কটাক্ষ ভেসে এসেছিল ভারতের অন্যতম সেরা বলি-সুন্দরী মাধুরী দীক্ষিতকেও কেড়ে নেওয়া হবে।পাত্তা দেননি বিক্রম। বরং চ্যালেঞ্জটা নিয়েছিলেন। পরিকল্পনা যেমন সুচতুর ছিল তেমন আক্রমণও ছিল জোরদার। বিক্রমের নেতৃত্বে ভারতীয় জোয়ানের ওই টিমের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি পাকিস্তান সেনার ওই দল। দেশের জাতীয় পতাকা ওঠানোর আগে হাতে গ্রেনেড নিয়ে পাকিস্তানি সেনার বাঙ্কার ওড়ানোর আগে শত্রু সেনাবাহিনীর উদ্দেশে চিৎকার করে বিক্রম বলে উঠেছিলেন, 'এই নে। মাধুরী দীক্ষিতের তরফে ভালোবাসা পাঠালাম তোদের!'