মধু চোপড়ার কথায়, ‘নিউক্লিয়ার ফ্যামিলি সেট আপকে জানালার বাইরে ছুড়ে ফেলে দেওয়া উচিত। আমার বাচ্চারা তো ওদের মাসী, মামী, মামা এবং তুতো ভাইবোনদের সঙ্গেই বড় হয়েছে। পরিবার আমার কাছে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। আমার ছেলেমেয়েদের ক্ষেতেও এটা সমান গুরুত্বপূর্ণ।'
প্রিয়াঙ্কা চোপড়া-মধু চোপড়া
একান্নবর্তী পরিবার (Joint family) নাকি ছোট নিউক্লিয়ার পরিবার? এই দুই পরিবার ও ভাবনার মধ্যে বিবাদ বহুদিনের। তবে নিউক্লিয়ার নয়, একান্নবর্তী বা যৌথ পরিবারের পক্ষেই সওয়াল করলেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার মা মধু চোপড়া। প্রিয়াঙ্কার মায়ের সাফ কথা, ছোট একান্নবর্তী পরিবারের ভাবনাটাই জানালা দিয়ে ছুড়ে ফেলে দেওয়া উচিত।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে একান্নবর্তী পরিবারে সমর্থনে নিজের দুই সন্তান প্রিয়াঙ্কা ও সিদ্ধার্থকে বড় করে তোলার উদাহরণ টানেন মধু চোপড়া। তাঁর কথায়, প্রিয়াঙ্কা ও সিদ্ধার্থের জন্মের পর তিনি এবং তাঁর স্বামী অশোক চোপড়া দুজনেই নিজের কেরিয়ার নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত ছিলেন। সেক্ষেত্রে প্রিয়াঙ্কা ও সিদ্ধার্থের বড় হয়ে ওঠার পিছনে তাঁর পরিবারের অন্যান্যদের ভূমিকা অনেকটাই বলেই জানান মধু চোপড়া।
মধু চোপড়ার কথায়, ‘নিউক্লিয়ার ফ্যামিলি সেট আপকে জানালার বাইরে ছুড়ে ফেলে দেওয়া উচিত। আমার বাচ্চারা তো ওদের মাসী, মামী, মামা এবং তুতো ভাইবোনদের সঙ্গেই বড় হয়েছে। পরিবার আমার কাছে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। আমার ছেলেমেয়েদের ক্ষেতেও এটা সমান গুরুত্বপূর্ণ।'
মধু চোপড়া বলেন, 'যদিও আমি একজন working mother ছিলাম, তবুও আমি এটা খেয়াল রাখতাম যে ছেলেমেয়েরা কখনও যেন একা না হয়ে যায়। আমার ছেলেমেয়ে যৌথ পরিবারে বড় হয়েছে, তাই ওরা যৌথ পরিবারই পছন্দ করে। নিউক্লিয়ার পরিবারের ভাবনাকেই এক্কেবারে ছুড়ে ফেলে দেওয়া উচিত। আমার স্বামীর পরিবারেই তখন মোট ৯জন শিশু ছিল, একইভাবে আমার পরিবারেও আরও ৯জন ছিল। আমার ছেলেমেয়ে আর ওদের তুতো ভাই বোনেরা যেহেতু একসঙ্গেই বেড়ে উঠেছে, তাই আজও ওরা একসঙ্গে হলে বাকি সবকিছু ভুলে যায়। ওদের বন্ধন ভীষণ মজবুত। এমনকি আমি এটা জানি যে আমাদের অবর্তমানেও ওরা একে অপরের পাশে থাকবে।’