বাংলার বাইরে দ্বন্দটা সালার ভার্সেস ডাঙ্কি চললেও, বাংলার ভিতরে তা কাবুলিওয়ালা আর প্রধানের। দুটি ছবিই টক্কর দিচ্ছে একে-অপরকে। ৩১ ডিসেম্বর আর নিউ ইয়ারের ছুটিতে, কে কত ঢোকাল ঘরে?
Ad
আয়ের নিরিখে কে এগিয়ে, কাবুলিওয়ালা না প্রধান?
আপাতত গোটা দেশে জমিয়ে ব্যবসা করছে ডাঙ্কি আর সালার। দুটি সিনেমার মুখোমুখি সংঘর্ষ, বক্স অফিস কালেকশন নিয়েও কম আলোচনা হচ্ছে না। তবে বছরের শেষে বাংলার মানুষ মজে রয়েছেন কাবুলিওয়ালা ভার্সেস প্রধান-এ। বছরের শেষে মুখোমুখি টক্কর দেব আর মিঠুন চক্রবর্তীর। আয়ের হিসেবে কে কাকে টেক্কা দিল চলুন দেখে নেওয়া যাক।
টলিবাংলা বক্সঅফিসের রিপোর্ট বলছে, ৩১ ডিসেম্বর আর ১ জানুয়ারি এই দু দিনের হিসেবে বাজিমাত করেছে প্রধান-ই। গত কয়েকবছরে একেরপর এক হিট উপহার দিয়েছেন এই অভিনেতা টলিউডকে। সেই তালিকায় রয়েছে প্রজাপতি আর টনিকের মতো সিনেমাই। আর এই দুই সিনেমা যারা বানিয়েছেন, সেই অতনু-অভিজিতের জুটিই ছিলেন প্রধান-এর দায়িত্বে। সঙ্গে আবার ছিলেন পরাণ বন্দোপাধ্যায়। তাই প্রধান নিয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন দেবের ভক্তরা বরাবরই। সঙ্গে আবার ছোট পর্দার জনপ্রিয় নায়িকা মিঠাই ওরফে সৌমিতৃষা কুণ্ডু এই সিনেমা দিয়েই ডেবিউ করলেন বড় পর্দায়। সব মিলিয়ে, ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই চর্চায় ছিল প্রধান।
অন্য দিকে, কাবুলিওয়ালা দিয়ে অনেকদিন পর এসভিএফের সঙ্গে কাজ করলেন মিঠুন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কালজয়ী এই লেখনী নিয়ে এর আগেও হয়েছে সিনেমা। তবে দেখা যায়, ট্রেলার বেরনোর পরই রহমত অর্থাৎ কাবুলিওয়ালার চরিত্রে মিঠুন এবং মিনির চরিত্রে অনুমেঘা কেড়ে নিয়েছেন সকলের মন। মিনি-র মা-বাবার চরিত্রে আবির ও সোহিনীও যথাযথ।
টলিবাংলা বক্স অফিস নামে একটি ফেসবুক পেজের তরফে দাবি, ৩১ ডিসেম্বর আর ১ জানুয়ারি, ছুটির এই দু দিনে কাবুলিওয়ালা-র আয় ১ কোটির বেশি। তবে অনেকটা এগিয়ে প্রধান আয় করল প্রায় দেড় কোটি। অন্য দিকে, মুক্তির পরে মোট ১১ দিনে প্রধানের মোট আয় ৩.৬৫ কোটি।