‘টম আর জেরি’র মতো সারাক্ষণ শ্যুটিং সেটে লড়াই চলত তাঁদের। কিন্তু পরস্পরের জন্য সবকিছু করতে এক পায়ে খাড়া দুজনে। এমনই বন্ধুত্ব অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী এবং পদ্মিনী কোলহাপুরীর। এমনকি বন্ধুর বিয়ের জন্য পেটে ব্যথার ভান পর্যন্ত করেছেন ‘ডিস্কো ডান্সার’! হ্যাঁ, সালটা ১৯৮৬, এক ছবির সেটে আচমকাই পেটে যন্ত্রণা শুরু মিঠুনের। থমকে গেল শ্যুটিং, সকলে অভিনেতাকে নিয়ে ব্যস্ত। সেই ফাঁকে দৌড়ে গিয়ে প্রযোজক প্রদীপ শর্মাকে বিয়ে করে নেন পদ্মিনী।
এতদিন পর এই কাহিনি ফাঁস হল ‘সারেগামাপা লিটল চ্যাম্পস’-এর মঞ্চে। ৩৩ বছর পর মিঠুন-পদ্মিনী জুটির দেখা মিলল এই গানের রিয়ালিটি শো-এর মঞ্চে। 'মহাগুরু' মিঠুন জানান- ‘কেউই হয়ত জানে না, তবে আমি পদ্মিনীর বিয়ে দিয়েছিলাম শ্যুটিং আটকে। সত্যি বলতে আমি সবার সামনে পেটে যন্ত্রণার নাটক করি যাতে ও দৌড়ে গিয়ে বিয়েটা সেরে আবার ফিরে আসতে পারে। আমি ওইদিন ওকে পালাতে সাহায্য করেছিলাম, যতক্ষণ না ও ফেরত আসে আমি পেট ব্যাথার নাটক চালিয়ে গেছি। আজ পর্যন্ত কেউ এটা জানে না’।
এদিন লিটল চ্যাম্পসের মঞ্চে দুজনের বন্ধুত্বের এমনই অজানা দিক উঠে এল। রুপোলি পর্দায় বহু ‘রানিং শাদি’ দেখিয়েছে বলিউড, কিন্তু শ্যুটিংয়ের নেপথ্যে এমন ঘটনাও যে ঘটতে পারে তা বোধহয় সত্যিই কল্পনার বাইরে।
পদ্মিনী জানান, ‘হ্যাঁ, এটা সত্যি। কিন্তু আমাকে বলতেই হচ্ছে আমি আর মিঠুনদা খুব ঝগড়াও করলাম সেটে, একদম টম আর জেরির মতো। ওঁনার আমার সবকিছু নিয়ে প্রবলেম ছিল, আর সর্বদা আমার পিছনে লাগতো। কিন্তু মন থেকে পরস্পরকে ভালোবাসতাম।'
যদিও সহ-অভিনেত্রীর এই অভিযোগ মানতে না-রাজ মিঠুন। তিনি পালটা বলেন, ‘ওর একটা বাজে স্বভাব ছিল, এক চোখ রগাড়াতো পদ্মিনী। আমাদের বাঙালিদের কাছে সেটা ব্যাড লাক হিসাবে ধরা হয়। আমি ওমনি রেগে যেতাম, আর ও আমার সামনেই এক চোখ দেখাবে। সেটের মধ্যে নিজের ইচ্ছায় সবকিছু করত ও, তাই আমি রেগে যেতাম’।
আরও পড়ুন-‘চাই না আমার বায়োপিক কেউ বানাক’, মিঠুনের এই অদ্ভুত দাবির পিছনে রয়েছে বড় কারণ!
আশির দশকে ‘প্যায়ার ঝুকতা নেই’, ‘স্বর্গ সে সুন্দর’, ‘দাতা’,'মুদ্দত', ‘হাম ইনতেজার করেঙ্গে’-সহ একঝাঁক ছবিতে অভিনয় করেছেন মিঠুন-পদ্মিনী।