যিশু সেনগুপ্তের থেকে আলাদা হয়েছেন। নামের পাশ থেকে মুছে ফেলেছেন 'সেনগুপ্ত' পদবী। ফিরে গিয়েছেন পুরনো তাঁর বাবার দেওয়া পদবীতেই। এই মুহূর্তে দুই মেয়ে জারা ও সারাকে নিয়েই আপাতত জীবন চলছে নীলাঞ্জনার। যদিও দাম্পত্য নিয়ে কিংবা যিশুকে নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে নারাজ নীলাঞ্জনা। তবে এরই মাঝে মহাশিবরাত্রিতে বড় পদক্ষেপ নিলেন নীলাঞ্জনা শর্মা।
এবার শিবরাত্রিতে নিজের শরীর থেকে যিশুর শেষ চিহ্নটুকু মুছে ফেললেন নীলাঞ্জনা। কী এমন করলেন তিনি?
এতদিন নীলাঞ্জনার ঘাড়ে যিশুর নামের একটি ট্যাটু ছিল। সেটাই এবার মুছে ফেললেন তিনি। যিশুর নাম মুছে সেখানে শিবের ছবি এঁকেছেন নীলাঞ্জনা। যে ছবির নিচে লেখা ওম নমঃ শিবায়। যে ছবিটি নিজেই আজ ২৬ ফেব্রুয়ারি শিবরাত্রির দিন সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন তিনি।
ভালোবাসার মানুষের নামে ঘাড়ে ট্যাটু আঁকার ঘটনা তারকা মহলে নতুন নয়। এর আগে রণবীর কাপুরের নামে ট্য়াটু করেছিলেন বলি ডিভা দীপিকা পাড়ুকোন। পরে সেই ট্যাটু তাঁকেও তুলে ফেলতে হয়েছিল। সেটি তুলতে দীপিকা পরবর্তী সময়ে নিজের প্রসাধনী সংস্থা ৮২.F লেখেন। এবার সেই দীপিকার পথেই হাঁটতে হল নীলাঞ্জনাকেও। যদিও একটু অন্যভাবে।
এর আগে এক সাক্ষাৎকারে সামান্থা রুথ বলেছিলেন, যতই ভালোবাসা থাক, শরীরে ভালোবাসার মানুষের নামে ট্যাটু করানোটা বোকামি। তিনিও নাকি নাগা চৈতন্যের নামে শরীরে ৩ জায়গায় ট্য়াটু করিয়েছিলেন সেই ট্যাটু নাকি ডিভোর্সের পরও রয়ে গিয়েছে। সামান্থার কথায় যা যন্ত্রণা দেয় তা মুছে দেওয়াই ভালো।
প্রসঙ্গত, যিশুর থেকে আলাদা হওয়ার পর কঠিন সময়ে নিজেকে অনেকটাই সামলে নিয়েছেন প্রাক্তন অভিনেত্রী তথা প্রযোজক। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তাঁকে এবিষয়ে প্রশ্ন করা হলে নীলাঞ্জনা বলেন, ‘অতীতের ঘাত-প্রতিঘাত কাটিয়ে উঠেছি আমি। অতীত এখন অনেকটা পিছনে। অতীতকে নিয়ে বেঁচে থাকলে কখনওই এগোনো যায় না। তাই পিছনে তাকিয়েও লাভ নেই। বর্তমান সময়টাই আমার কাছে উপহার। ভবিষ্যতের উপর কারোর নিয়ন্ত্রণ নেই। তাই কী ঘটেছে তা নিয়ে কান্নাকাটি না করে হতাশ না হয়ে সামনে তাকাতে হবে।’