
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
একান্নবর্তী পরিবারের যে বাঁধন থাকে, তা এখনকার সময় আর দেখতে পাওয়া যায় না। দাদু দিদার মেয়ে বড় হয় না ছেলেমেয়েরা। নিউক্লিয়ার ফ্যামিলির দাপটে এখন একা একাই বড় হতে হয় সকলকে। ঠিক তেমনি একটি পরিবার হল মিত্তির পরিবার, যেখানে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক নেই। বাস্তবেও কি একে অপরের মুখ দেখেন না মিত্তির পরিবারের সদস্যরা? বাস্তবে ঠিক কেমন সম্পর্ক তাঁদের? কী বলছেন তাঁরা?
মিত্তির পরিবারে যারা অভিনয় করছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন দুলাল লাহিড়ী, শঙ্কর চক্রবর্তী, অদ্রিত রায়, অনন্যা গুহ, মনিকা দে, পারিজাত চৌধুরী, অনুরাধা রায়, মধুরিমা চক্রবর্তী এবং আরও অনেকে। সম্প্রতি আনন্দ ক্লাসের তরফ থেকে মিত্তির পরিবারের সেটে হানা দেওয়া হয়েছিল। ক্যামেরার আড়ালে কী করেন কলাকুশলীরা, তা জানার চেষ্টা করা হয়েছে।
পর্দায় যতই রাগারাগি হোক না কেন, পর্দার আড়ালে কিন্তু একে অপরের সঙ্গে ভালোই খুনসুটি চলে। যেমন ধরুন লাঞ্চ ব্রেকের সময় ঠাম্মি ওরফে অনুরাধারায় নারকেল খাইয়ে দেন পারিজাত ওরফে জোনাকিকে। বহুদিনের বন্ধু হওয়ায় দুলাল বাবু, শঙ্কর এবং সোনালীর সঙ্গে সমানে চলে আড্ডা। পরিচালকের নির্দেশে রাতের বেলা বড়িও দিতে হয় অনুরাধাকে।
আরও পড়ুন: ওয়ার ২ মুক্তি পাওয়ার আগেই প্রকাশ্যে কবীর-টাইগারের ক্রসওভার! নেটপাড়ার বলছে, ‘পাঠান কোথায়?’
সিরিয়ালের প্রযোজক প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় একান্নবর্তী পরিবারের গল্প প্রসঙ্গে বলেন, এই গল্পের তিন প্রজন্মের কথা বলা হয়েছে। যৌথ পরিবারের মধ্যে যে একতা থাকে, সেটাই দেখানো হয়েছে। দাদু ঠাকুমার সঙ্গে নাতি এবং নাত বউয়ের মিষ্টি সম্পর্ক তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে এখানে।
প্রসেনজিতের কথায় সহমত পোষণ করে অনুরাধা বলেন, আমার ছোটবেলাও এমনই এক যৌথ পরিবারে কেটেছে। পুরনো সেই দিনের কথা বারবার মনে পড়ে এই সিরিয়ালে অভিনয় করতে গিয়ে। কাজ করতে করতে বেশ মজার অভিজ্ঞতাও হয়। পরিচালকের নির্দেশে রাতে বড়ি দিতে হয়, সকালে রোদ ওঠার জন্য অপেক্ষা করতে হয়। সব মিলিয়ে বেশ মজাই লাগে।
এই ধারাবাহিকে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছেন পারিজাত, যিনি ইন্দুবালা ভাতের হোটেল সিনেমায় শুভশ্রীর ছোটবেলার চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন। পারিজাত বলেন, অন ক্যামেরায় সম্পর্কের যতই জটিলতা দেখানো হোক না কেন, অফ ক্যামেরায় সবার সঙ্গে সবার ভীষণ বন্ধুত্ব।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শতরান কোহলির! বর সেঞ্চুরি হাঁকাতেই ভাইরাল অনুষ্কার 'বিরাট' প্রতিক্রিয়া
সকলের সঙ্গে আড্ডায় যোগ দিতে দেখা যায় আদৃতকেও। মিঠাইয়ের পর আদৃত রায়ের এটি দ্বিতীয় ধারাবাহিক। আদৃত বলেন, সেটে পৌঁছানোর রাস্তা ভীষণ ভাঙাচোরা, অলি গলি দিয়ে আসতে হয় এখানে। তবে একবার সেটে পৌঁছে গেলে দিনটা ঝকঝকে হয়ে যায় কারণ সবার সঙ্গে দেখা হয়ে যায় এক নিমেষে। পারিজাতের সঙ্গে ভীষণ বন্ধুত্ব হয়ে গেছে, খুব ভালো একটা মেয়ে ও।
প্রসঙ্গত, দুই বুড়োবুড়ির গল্প নিয়ে তৈরি হওয়া এই ধারাবাহিকটি। যৌথ পরিবারের ছিঁড়ে যাওয়া সুতোগুলো কীভাবে আবার জোড়া লাগবে, বিশ্বাস অবিশ্বাসের দোলাচোলে নতুন করে সম্পর্কগুলো আবার কি বেঁচে উঠবে? এই গল্প নিয়েই তৈরি হওয়া সিরিয়াল মিত্তির বাড়ি প্রতিদিন সম্প্রচারিত হয় জি বাংলায় ঠিক রাত নটায়।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports