বাঙালির ৮ থেকে ৮০ এর কাছে মহানায়িকা হলেন সুচিত্রা সেন। কিন্তু এই কথা মানতে নারাজ অভিনেত্রী লিলি চক্রবর্তী। তাঁর মতে অভিনয়ের নিরিখে সুচিত্রা সেন মোটেই মহানায়িকা নন। কী বললেন তিনি?
কী ঘটেছে?
আড্ডা স্টেশনকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে লিলি চক্রবর্তী কথা বলেন সুচিত্রা সেনকে নিয়ে। সেখানেই তিনি বলেন, 'মহানায়িকা বলতে গেলে সাবিত্রী দিকে বলা উচিত অভিনয় হিসেবে, চেহারা হয়তো নয়। কিন্তু অভিনয় দিয়ে বিচার করতে গেলে সাবিত্রী দি মহানায়িকা। সাবিত্রী দি এত নরম্যাল অভিনয় করতেন যেটার ধারে কাছে সুচিত্রা সেন যেতেন না।' তবে তিনি এটাও বলেন যে, 'কিন্তু ওঁর একটা ইয়ে ছিল, সবাই পছন্দ করতেন।'
কেবল সুচিত্রা সেন নয়, এদিন লিলি চক্রবর্তী কথা বলেন সন্ধ্যা রায়কে নিয়েও। তিনি বলেন, 'সন্ধ্যা রায় একটু ইয়ে ছিল... ওঁর হয়তো ভালো লাগত না আমার সঙ্গে কাজ করতে যেহেতু আমি ওই নরম্যাল অ্যাকটিং করতাম। আর সবাই বলতো, বাহ দারুণ হয়েছে তোমার অভিনয়। সেটা ওঁর পছন্দ হতো না। কিন্তু এমনি ভালো লাগতো, যদিও খুব একটা মিশতো না।'
লিলি চক্রবর্তীর এই কথায় যেমন অনেকে তাঁর সমর্থন করেছেন, কেউ কেউ আবার বিরোধিতা করেছেন। এক ব্যক্তি লেখেন, 'আসলে সুচিত্রা সেনকে অনেক নায়িকাই অত্যন্ত হিংসা করতেন সেটা এখন বোঝা যায়। উনি ওঁর সৌন্দর্য, ব্যক্তিত্ব, অভিনয়ের জন্য মানুষই ওনাকে মহানায়িকা করেছে। উনি নিজেই নিজেকে মহানায়িকা ঘোষণা করেননি।অভিনয় অনেকেই ভালো করতেন কিন্তু সবকিছু মিলিয়ে সুচিত্রা সেন আর উত্তম কুমারের তুলনা ওঁরা নিজেই। তাই এদের এইসব কথার কোনও যৌক্তিকতা নেই। লিলি চক্রবর্তী কোনও দিনই প্রথম সারির নায়িকাদের মধ্যে পড়তেন না।' আরেকজন লেখেন, 'সুচিত্রা সেন সুন্দরী কিন্তু ওভার অ্যাকটিং করতেন। তবে কিছু সিনেমায় সুচিত্রা সেন ছাড়া হতো না। যেমন সপ্তপদী। আর সন্ধ্যা রায় মাথা ফাঁকা সৌন্দর্য। অপর্ণা সেন,শর্মিলা এঁরা হলেন বিউটি উইথ ব্রেন।' তৃতীয় ব্যক্তি লেখেন, 'অভিনয়ে মহানায়িকা সাবিত্রী চট্টপাধ্যায়।' চতুর্থ জন লেখেন, 'সুচিত্রা সেন নিজে নিজেই মহানায়িকা হননি। সব দিক বিচার করেই তিনি সবসময় মহানায়িকা।'