লতা মঙ্গেশকরের ছোট ভাই হৃদয়নাথ মঙ্গেশকর। রবিবার মুম্বইয়ের শিবাজি পার্কে লতা মঙ্গেশকরের মুখাগ্নি করেছিলেন তিনি। চার বোন লতা মঙ্গেশকর, আশা ভোঁসলে, ঊষা মঙ্গেশকর, মীনা খাদিরকর; তাঁদের একমাত্র ভাই হৃদয়নাথ। পরিবারে ভাইবোনেদের মধ্যে অধিক জনপ্রিয় লতা এবং আশা, তবে তাঁদের ভাই হৃদয়নাথ মঙ্গেশকরও সংগীত জগতের মানুষ।
এই হৃদয়নাথকে নিয়েই বিতর্ক। এক সময়ে তাঁকে গোয়ার অল ইন্ডিয়া রেডিয়ো-র চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। কেন বরখাস্ত করা হয়েছিল, তা নিয়ে নানা রকম তত্ত্ব আছে। সেই সময়ে গোয়া ছিল কংগ্রেসের দখলে। ২০১৮ সালে এক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হৃদয়নাথ দাবি করেছিলেন, তিনি বীর সাভরকরের কবিতা পাঠ করেছিলেন। তাই তাঁকে বরখাস্ত করে কংগ্রেস পরিচালিত রাজ্য সরকার। ওই কবিতা পাঠের মাত্র আট দিনের মাথাতেই তাঁকে বরখাস্ত করা হয়।
লতা মঙ্গেশকরের মৃত্যুর পরেই সেই প্রসঙ্গ আবার ফিরে এল। এবং এবার ফিরে এল রাজ্যসভায়। তুললেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। কড়া ভাষায় কংগ্রেসকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘লতা মঙ্গেশকরজির প্রয়াণে গোটা দেশে শোকাহত। কিন্তু আপনাদের মনে করিয়ে দিই, গোয়ায় কংগ্রেস শাসনকালেই লতা মঙ্গেশকরের ছোট ভাই হৃদয়নাথ মঙ্গেশকরকে আট দিনের মধ্যে অল ইন্ডিয়া রেডিয়ো-র চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। কারণ তিনি বীর সাভরকরের কবিতা পাঠ করেছিলেন।’
রাজ্যসভায় রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর ‘মোশন অফ থ্যাংকস’ বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী কংগ্রেস জামানায় ব্যক্তি স্বাধীনতা খর্ব করার প্রসঙ্গ টেনে আনেন। সেই সূত্রেই ওঠে হৃদয়নাথ মঙ্গেশকরের প্রসঙ্গটি।
‘লেকিন’ ছবির জন্য ১৯৯০ সালে সেরা সংগীত পরিচালক হিসেবে জাতীয় পুরস্কার পান হৃদয়নাথ মঙ্গেশকর। পদ্মশ্রী পান ২০০৯ সালে। একাধিক মারাঠি ছবি এবং হিন্দি ছবির সংগীত পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন তিনি। সাভরকর এবং মারাঠি কবি জ্ঞানেশ্বরের কবিতা নিয়েও কাজ করেছেন হৃদয়নাথ।