Kabhi Alvida Na Kehna: কভি আলবিদা না কেহনা-য় শাহরুখ-রানির যৌনদৃশ্যে কাঁচি চালানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন আদিত্য় চোপড়া, সেই নিয়ে করণের সঙ্গে তুমুল ঝগড়া হয় যশ রাজ ফিল্মস মালিকের।
কভি অলবিদা না কেহনা-র একটি দৃশ্য
শাহরুখ খানের সঙ্গে পরপর দুটো ব্লকবাস্টার হিট দেন পরিচালক করণ জোহর। কুছ কুছ হোতা হ্যায় এবং কভি খুশি কভি গম। কিন্তু এই জুটির তিন নম্বর ছবি দেশের বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে। ২০০৬ সালে মুক্তি পেয়েছিল করণ জোহরের ‘কভি অলবিদা না কেহনা’। বিবাহিত শাহরুখ রানির পরকীয়া প্রেম নিয়ে এই ছবি। শুরু থেকেই এই ছবি নিয়ে বন্ধু করণকে সচেতন করেছিলেন আদিত্য চোপড়া। পরকীয়ার মতো বিষয়কে ভারতীয় দর্শক ভালোভাবে নেবে না, শুরুতেই আন্দাজ করেছিলেন রানির বর। এতদিন পর করণ স্বীকার করে নিতে বাধ্য হলেন ভুল ছিল না আদিত্য চোপড়ার দুরদৃষ্টি।
করণ জানিয়েছেন কেমনভাবে বিবাহিত দম্পতিরা তাঁকে এই ছবি দেখে জানিয়েছিলেন, এই ছবি ভালো লেগেছে এমন কথা মুখে আনতে পারবে না তাঁরা কারণ তাহলে তাঁদের পার্টনারের মনে প্রশ্ন জাগবে। সাংবাদিক অনুপমা চোপড়ার পডকাস্ট শো-তে করণ জোহর কভি অলবিদা না কেহনা-র পরকীয়া দৃশ্য নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বলেন, ‘এর পিছনে একটা বিরাট গল্প রয়েছে’।
করণ বলে চলেন, ‘আমি একটা সিকুয়েন্স শ্যুট করছিলাম, বিরাট লোকেশনে কাজ চলছে হঠাৎ আদির (আদিত্য চোপড়া) ফোন এল। বলল, এই শোনা আমি না গত কয়েকদিন ধরেই ভেবে চলেছি, আর এই ভাবনা আমার মাথা থেকে সরছে না। আমার মনে হয় না শাহরুখ-রানির সেক্স করা উচিত। কারণ ভারতীয় দর্শকরা সেটা মানবে না। ওদের একটা জায়গা অবধি পৌঁছানো উচিত, এরপর নিজেদের ভুল বুঝে সরে যাওয়া উচিত কারণ এই ঘনিষ্ঠতা নিয়ে ওরা অনুতপ্ত’।
করণ জানান, ২০০৪ সালে বাবাকে হারানোর পর একটু ‘বিদ্রোহী’ হয়ে ওঠেছিলেন তিনি। কারণ যশ জোহর কোনওদিন তাঁকে ‘কভি অলবিদা না কেহনা’র মতো ছবি তৈরির অনুমতি দিতেন না যা ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে খাপ খায় না। তাই বন্ধুর কথা না শুনে মুখের উপর করণ জানিয়ে দেন, ‘না, আমি তো ওই দৃশ্য দেখাব। এটা কী করে হতে পারে যে কেউ সম্পর্কে থাকবে আর সেক্স করবে না? সেই নিয়ে ফোনে আমাদের তুমুল ঝগড়া হয়। আমি একটু বিদ্রোহী হয়ে উঠেছিলাম। কিন্তু পরে যখন আমি বসে ছবিটা দেখেছি, আমি উপলব্ধি করেছি আদি ঠিক বলেছিল। ব্যবসায়িক দিক থেকে আদির কথা ঠিক ছিল। ওদের প্রেমটা দর্শক অনেক সহজভাবে গ্রহণ করত যদি না ওরা (শাহরুখ-রানি অভিনীত চরিত্র) শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ত’।
কভি অলবিদা না কেহনা-তে বিবাহিত দম্পতি হিসাবে দেখানো হয়েছিল শাহরুখ খান ও প্রীতি জিন্টাকে। অন্যদিকে স্বেচ্ছায় ছেলেবেলার বন্ধু অভিষেককে বিয়ে করেন রানিও। তবে স্ত্রী, ছেলেকে ভুলে রানির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন শাহরুখ। দাম্পত্য সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়েই এগিয়ে ছিল এই ছবির চিত্রনাট্য। বিদেশের বক্স অফিসে ভালো ফল করলেও ভারতীয় দর্শক এই ছবির ভাবনাকে মেনে নিতে পারেনি। এর জেরেই ফ্লপ হয় ‘কভি অলবিদা না কেহনা’।