আরজি করের ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা বাংলা তথা দেশকে। যদিও দেখতে দেখতে প্রায় দুটো সপ্তাহ হতে চলল সেই নৃশংস, নারকীয় ঘটনার। এখনও দোষীরা ধরে পড়েনি। তবে তিলোত্তমার বিচার চেয়ে রাস্তায় নেমেছে প্রায় গোটা রাজ্যের মানুষ। বিচার চেয়ে প্রথমে রাস্তায় নামার ডাক দিয়েছিল একদল মেয়েই। মেয়েদের রাত দখল এরপর ধীরে ধীরে রূপ নেয় বৃহত্তর আন্দোলনে।
তবে এরইমাঝে রাজনৈতিক চাপানউতোর তৈরি হয়েছে। রাজ্যের শাসক ও বিরোধী দল নিজেদের মধ্যেই মারামারিতে ব্যস্ত। নানা জায়গায় হিংসের ঘটনা সামনে আসছে। সাধারণ মানুষের ভয়, এই রাজনৈতিক চাপানউতোরে বিচারের রাস্তাটাই যেন বন্ধ হয়ে না যায়। সাধারণ রাজনৈতিক দলাদলিতে এসে শেষ হয় গোটা ঘটনাটা। কারও আবার মত, তৃণমূল-বিজেপির আঁতাত হয়ে গিয়েছে। তাই এখন লোকের চোখে ধুলো দেওয়ার খেলা শুরু হয়েছে।
এরকমই একটি পোস্ট শেয়ার করলেন পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়। যেখানে কোনও দলের নাম না নিয়েই তিনি লিখেছেন, ‘খাল কেটে কুমির এনেছিলাম - তার ল্যাজ ধরে হাঙ্গর এসেছে...জলের তলায় খুব ভাব’।
বুঝতে সমস্যা হয় না, তিনি এখানে বিজেপি ও টিএমসি-র কথা লিখেছেন। এমনকী সোশ্যাল মিডিয়াতেও নেটিজেনরা পরিচালকের সঙ্গে একমত। ভাইরাল হয়েছে পোস্টটি। প্রায় দেড় হাজার মানুষ শেয়ার করেছেন।
কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের এই পোস্ট আসে ছাত্র সমাজের নবান্ন অভিযানের পরদিন। মঙ্গলবার পথে নামে একদল মানুষ। ছাত্রদের নাম দিয়ে ডাকা সে জমায়েতে, ছিলেন নানা বয়সীরা। বিজেপির পতাকা হাতেও দেখা যায় অনেককে। ছিলেন অর্জুন সিং-এর মতো নেতারাও। সেই আন্দোলনে পুলিশ টিয়ার গ্যাস, জল কামান চালালে, পরদিন অর্থাৎ ১২ ঘণ্টার বনধ ডাকে বিজেপি। ফলে গত দুদিন ধরে বেশ রাজনৈতিক চাপানউতোর চলে।
কমলেশ্বরের কথায় বেশিরভাগ নেটিজেন যখন একমত, তখন কেউ কেউ আবার আরজি কর হাসপাতালের ঘটনা নিয়ে সিপিএমের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। একজন কমেন্টে লেখেন, ‘কিন্তু বামেরা কী করছে? নবান্ন অভিযান কি আদৌ হবে নাকি এরকম মন্তব্য করেই দিন কেটে যাবে? সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী আর পুলিশমন্ত্রীর মুখোমুখি দাঁড়ানো হবে, নাকি মহামান্য সেলিম সাহেব স্রেফ ফেসবুক লাইভে এসে সেটিংতত্ত্ব আউড়ে যাবেন? প্রশ্ন করছি কারণ ভরসা উঠে যাচ্ছে।’
আরও একজন লেখেন, ‘এই কামড়াকামড়ি ও খুব সুপরিকল্পিত... "আমরা আমরা ঝগড়া করি চলো.... বাকি সব হওয়া হয়ে যাবে।" ওঁরা ভাবছেন এ লড়াইয়ে মানুষ যদি জিতে যায়... তাহলে দাঁড়াবেন কোথায়??? তাই মিছি মিছি খেলতে নেমেছেন... " আমরা কিছুদুরে এগোলেই তোমরা জল ছুড়বে.. আমারদের লোকজন সরে আসবে। নাটকটা এমন ভাবে করতে হবে আমার বা তোমার চ্যালাব্যালারা টের না পায় "... উঁনি মাঝে মাঝে ভুলে যান বাংলার মানুষ অতো বোকা নয়’।