যত দিন যাচ্ছে আপ নেতা রাঘব চাড্ডা ও পরিণীতি চোপড়ার বিয়ে নিয়ে গুঞ্জন ততই যেন বাড়ছে। রবিবার সকালেও মুম্বই এয়ারপোর্ট থেকে রাঘবের সঙ্গে বের হতে দেখা যায় অভিনেত্রীকে। আর এসবের মাঝেই পরীর পুরনো একটি সাক্ষাৎকার ভাইরাল। যেখানে তিনি বলেছিলেন, আর যাই হোক রাজনীতিবিদ বিয়ে করতে চান না একেবারেই।
সিদ্ধার্থ মালহোত্রার সঙ্গে একটি সিনেমার প্রচারের সময় পরিণীতিকে নানা তারকাদের নাম নিয়ে প্রশ্ন করা হচ্ছিল তিনি তার জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নেবেন কি না! হলিউড অভিনেতা ব্র্যাড পিটের কথা উল্লেখ করার পরে, পরিণীতিকে র্যাপিড ফায়ার রাউন্ডের সময় রাজনীতিবিদদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। যার উত্তরে তিনি বলেছিলেন, ‘সমস্যা হল আমি কোনও রাজনীতিবিদকে বিয়ে করতে চাই না। অনেক ভালো বিকল্প আছে কিন্তু আমি কখনও কোনও রাজনীতিবিদকে বিয়ে করতে চাই না।’
এরপর তিনি জানিয়েছিলেন তাঁর আদর্শ পার্টনারের মধ্যে কোন গুণগুলি থাকতেই হবে। পরিণীতির কথায়, ‘তাঁকে মজার হতে হবে এবং আমাকে অবশ্যই সম্মান করতে হবে। ভ্রমণের প্রতি ভালোবাসা থাকতে হবে, বিশেষ করে জলের প্রতি, সমুদ্র, ডাইভিং। যাই হোক না কেন তাঁকে একজন স্ব-নির্মিত ব্যক্তি হতে হবে। আমি এমন পুরুষদের ভালবাসি যারা তাদের জীবন নিজেরাই তৈরি করেছে।’
রবিবার মুম্বই এয়ারপোর্টের বাইরে তাদের পরিণীতি এসেছিলেন অল ব্ল্যাক লুকে। এবং রাঘবকে বেইজ রঙের শার্ট এবং ডেনিমে দেখা গিয়েছিল। রাঘব প্যাপের দিকে তাকিয়ে হাসলেও দুজনে একসঙ্গে ফোটোর জন্য পোজ দিয়ে রাজি হননি। পরিণীতি অবশ্য এক ভক্তের অনুরোধে সেলফি তুলতে বাধ্য হন। তাঁরা একই গাড়িতে বিমানবন্দর ত্যাগ করেন। কয়েকদিন আগে রাঘবও দিল্লি বিমানবন্দরে পরিণীতিকে নিতে এসেছিলেন।
আম আদমি পার্টির নেতা সঞ্জীব অরোরা এবং পাঞ্জাবি গায়ক এবং অভিনেতা হার্ডি সান্ধু ইতিমধ্যেই পরিণীতি ও রাঘবকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রকাশ্যে। তবে এই দুই ব্যক্তি নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে রা কাটেননি। রিপোর্ট অনুযায়ী, পরিণীতি এবং রাঘব লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্সে একসঙ্গে পড়াশোনা করেছেন এবং দীর্ঘদিন ধরে তাঁদের বন্ধুত্ব। ইনস্টাগ্রামেও একে-অপরকে ফলো করেন তাঁরা।
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক )