বলিউডে আপস করে সফলতা অর্জন করা যায়, ব্যাপারটি একেবারেই একটি মিথ। সম্প্রতি এমন কথাই বলেছিলেন বলিউডের অন্যতম বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা ইমতিয়াজ আলি। এবার অন্য এক চলচ্চিত্র নির্মাতা বিনীতা নন্দা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোষ্টের মাধ্যমে এই কথার কড়া জবাব দিলেন। কী বললেন তিনি?
ঠিক কী বলেছিলেন ইমতিয়াজ আলি?
IFFI গোয়াতে হওয়া কাস্টিং কাউচ সম্পর্কে মন্তব্য করেছিলেন চলচ্চিত্র নির্মাতা ইমতিয়াজ আলি। পরিচালক বলেন, ‘বলিউডে আপোষ করলে সাফল্যের রাস্তা খুলে যায়, এই ব্যাপারটি পুরোটাই একটি মিথ। আমি প্রায় ২০ বছর এই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছি পরিচালক হিসাবে, কাস্টিং কাউচ নিয়ে অনেক কথাই শুনেছি। একটি মেয়ে না বলতে না পারলে তার সফলতার রাস্তা খুলে যায় এ কথা একদম ভুল। একজনের মধ্যে যদি সম্ভাবনা থাকে তাহলে সে নিশ্চয়ই ভালো চরিত্র পাবে।’
(আরও পড়ুন: 'মধ্যবিত্ত বাড়ির ছেলে ছিলাম তো…', ভিকি ডোনার হিট হওয়ার পর ‘ধরাকে সরা জ্ঞান’ করেছিলেন, স্বীকার আয়ুষ্মানের)
(আরও পড়ুন: ২৮ বছরের ছোট বঙ্গললনাতে মজে এ আর রহমান? তাঁর জন্যই বউকে ডিভোর্স? মুখ খুললেন মোহিনী)
ইমতিয়াজ আলির বক্তব্যের এবার জবাব দিলেন অন্য আর এক চলচ্চিত্র নির্মাতা বিনীতা নন্দা। সম্প্রতি বিনতা ইন্সটাগ্রামে একটি পোস্ট করেন যেখানে লেখা রয়েছে, ‘বিনোদন শিল্পী নারীরা ঠিক কি কি অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হন, সেই সম্পর্কে পন্টিফিকেশন করা বন্ধ করা উচিত। আপনি যদি করিনা কাপুর খানের কথা বলেন, তাহলে বলতেই হয় তিনি অবশ্যই নিরাপদ কারণ তিনি বিশেষ সুবিধা প্রাপ্ত।’
পোস্টে আরও লেখা রয়েছে, ‘আপনি জানেন বলিউডে কাস্টিং কাউচ হয়। IFFI গোয়াতে মহিলাদের পক্ষে কথা বলতে আপনাকে কে নির্বাচন করেছে? এটি কি সত্যকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য? এমন কোনও মানুষের এই কথা বলা উচিত নয়, যার এই বিষয়ে কোনও অভিজ্ঞতা নেই। একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্প প্ল্যাটফর্মে এমন মন্তব্য করার কোন প্রয়োজন ছিল না তাঁর। মহিলাদের নিরাপত্তা এবং সম্মান নিয়ে যেখানে কথা বলা উচিত ছিল সেখানে তিনি কীভাবে কাস্টিং কাউচ নিয়ে কথা বললেন?’
(আরও পড়ুন: দূরদর্শনের পুরনো অনুষ্ঠান দেখুন অ্যাপে, নতুন OTT 'ওয়েভস' নিয়ে এল প্রসার ভারতী, প্রশংসায় হংসল মেহতা)
(আরও পড়ুন: ডিভোর্সের পর ৫৭-র রহমানের সঙ্গে ২৭ বছরের মোহিনীর ‘প্রেম-চর্চা’! বাবাকে কার সঙ্গে তুলনা করল ছেলে)
পরিচালক হিসেবে ইমতিয়াজের শেষ ছবি ছিল নেটফ্লিক্সে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘অমর সিং চামকিলা’, যেখানে অভিনয় করেছেন দিলজিৎ দোসাঞ্জ এবং পরিণীতি চোপড়া।এটি একটি বায়োপিক।